দিলীপ ঘোষের সঙ্ঘের পাঠ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েও লাভ হচ্ছে না। দু’দিন আগেই প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় পথ অবরোধ ও অনশনে বসেছিলেন সিঙ্গুরের কর্মী–সমর্থকরা। প্রার্থী বদল করতে হবে বলে শোরগোল ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবার একই দাবি নিয়ে সিঙ্গুরে বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডের বাড়িতে তুমুল ভাঙচুর চালানো হল। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপিরই কর্মীদের বিরুদ্ধে। সুতরাং প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রশমন করতে পারছেন না বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে বিজেপি সিঙ্গুরের প্রার্থী করায় তুমুল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রাস্তায় নেমে এসেছে। আর তাঁকে বদলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপির একাংশ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রবীন্দ্রনাথের ছেলে তুষারকে ফোন করে তাঁর বাবাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিঙ্গুর বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতারা। রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য, বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্ব যেটা বলবেন তিনি তাই করবেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন, অনশন শুরু করবেন। হুগলি জেলা বিজেপির সহ–সভাপতি সঞ্জয় পাণ্ডে প্রথম থেকেই রবীন্দ্রনাথের প্রার্থী হওয়ার বিরোধী ছিলেন। তবে অনশন মঞ্চে তাঁকে দেখা যায়নি। তা থেকেই ধরে নেওয়া হয় তিনি দু’নৌকায় পা দিয়ে চলছেন। এই ঘটনা থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। শুক্রবার রাতে সিঙ্গুরে সঞ্জয়ের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। সেখানে সিঙ্গুর মণ্ডলের সভাপতিও হাজির ছিলেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সিঙ্গুরে যে ঘটনা ঘটছে তা বহিরাগতদের মদতে ঘটেছে। আমাদের দলের কিছু কর্মী ভুল পদক্ষেপ করেছে। প্রার্থী বদলের ব্যাপারে আমার কাছে কোনও খবর নেই। এটা কোনও প্রক্রিয়া নয়। কারণ বিজেপির প্রার্থী ঠিক করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আশা করি দু’একদিনের মধ্যে সব মিটে যাবে।’