দলবদলের পর কেশপুরে প্রথম জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর জনসভায় সেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীকে নিশানা করলেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। তবে এখান থেকে বামফ্রন্টের প্রশংসা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলের থেকে বামেরা অনেক ভালো। বামপন্থীরা অনেক ভালো কাজও করেছেন। ১৯৭৮ সালের পঞ্চায়েত তো বামফ্রন্ট করেছে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় প্রত্যেক বছর এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। সেই জায়গায় সাড়ে পাঁচ লাখ পদের অবলুপ্তি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের কর্মসংস্থান মানে চুক্তিভিত্তিক।’
২০১১ সালে বাংলায় পরিবর্তন আসলেও কেশপুরে পরিবর্তন আসেনি। কিন্তু ২০১৩ সালে সেই কেশপুরে পঞ্চায়েতে ভোটে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু যে আশা নিয়ে পরিবর্তন এনেছিলেন, তা কি পূর্ণ হয়েছে? কেশপুরবাসীকে প্রশ্ন করেন শুভেন্দু। তৃণমূলনেত্রী পুরুলিয়ায় বলেছিলেন, পচা জিনিস দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গ নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, পচা জিনিস বেরিয়ে গেলে পায়ে এত কাঁটা ফুটছে কেন?
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বামফ্রন্টের অনেক কাজের সমালোচনা করি। কিন্তু বুদ্ধবাবু সৎ মানুষ। লক্ষ্মণ শেঠরা হার্মাদ। তৃণমূল সরকার শিল্প তো তুলেই দিয়েছে। নতুন কোনও শিল্প হয়নি সাড়ে ন’বছরে। বলছে, ইস্টার্ন বাইপাসের পাশে আইটিসি সোনার বাংলা করেছি। সেই জায়গাগুলি সব বামফ্রন্টের আমলে দেওয়া। রাজারহাট–নিউটাউনের জায়গাও বামফ্রন্টের আমলে দেওয়া। সেই জায়গাগুলি বেচেছে। জায়গা বেচে খেয়েছে আর বিদেশে টাকা পাঠিয়েছে।’
শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘কেশপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছেন? এসেছেন উনি?’ গত ১০ বছরে কেশপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অনুপস্থিতি’ নিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেছেন নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। শুভেন্দুর কথায়, 'ভোট আসলেই নন্দীগ্রাম–কেশপুরের কথা মনে পড়ে তৃণমূলনেত্রীর। আমি ২১ বছর পর কেন তৃণমূল ছাড়লাম? কর্মচারী হয়ে থাকতে পারব না, সহকর্মী হয়ে থাকতে পারি। তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। কলেজের ছাত্র সংসদে চার বছর ভোট হয়নি। স্কুলের ছোলাতেও কাটমানি খাচ্ছে। পড়ুয়াদের দেওয়া জুতো, স্কুল ড্রেসেও কমিশন খাচ্ছে। কেন্দ্র এত সহায়তা দিয়েছে, কোনও পরিবর্তন হয়েছে কেশপুরের। এবার হবে।’