রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়ারা গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরের দিন, রবিবার ডুমুরজলায় বিজেপি–র বিশাল যোগদান মঞ্চে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির উপস্থিতিতে সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা আমরা ফাঁকা করব। তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানি করার মতো লোক থাকবে না।’
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি–তে যোগদান করার একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে বলে এদিন জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমি একসঙ্গে লড়াই শুরু করেছিলাম। সেইদিন থেকে আমরা মানসিকভাবে এক জায়গায় ছিলাম। আমাদের মধ্যে একটা সমঝোতা ছিল আমরা বাংলার ভাল জন্য কাজ করব, একসঙ্গে কাজ করব। তাই ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু (বিজেপি–তে) এসেছিল। আজ রাজীব এল। আমাদের বৃত্ত পরিপূর্ণ হল।’
এদিন বিজেপি–তে নতুন যোগদানকারী তৃণমূল বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়কদের মধ্যে ছিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাণী সিংহ রায়। তাঁর সম্বন্ধে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল যেদিন তৈরি হয়েছিল সে সময় যদি প্রথমজন মুকুল রায় হন, তা হলে দ্বিতীয়জন ছিলেন বাণী সিংহ রায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র ডাঃ রথীন চক্রবর্তীকে গোটা রাজ্যের মানুষ শ্রদ্ধা করেন।’ উত্তরপাড়ায় বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর ব্যাপারে শুভেন্দু বলেন, ‘তিনি তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে তৃণমূলকে তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একজন নেত্রী তৈরি করেছেন।’
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, প্রাক্তন বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকেও বিজেপি–তে স্বাগত জানান জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে এদিন ‘ভোটসাথী কার্ড’ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘এখানে বিজেপি সরকার হবে এবং বাংলায় আমরা ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প চালু করব। আমাদের লক্ষ্য একটাই, দিল্লিতে যে সরকার আছে কলকাতায় সে সরকার আনতে হবে।
তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দুর আক্রমণ, ‘নেতাজি বলেছিলেন, দিল্লি চলো আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দেশে চারটি রাজধানী করতে হবে। বাংলাদেশের স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ডাঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যদি না থাকতেন আমরা কেউ পশ্চিমবঙ্গের বা ভারতবর্ষের অধিবাসী হতে পারতাম না।’