বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে থাকা খুনের মামলা রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে একই রায় দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। যার ফলে ভোটের আগে আনিসুরকে জেল থেকে বার করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মাঠে নামানোর তৃণমূলের পরিল্পনা কার্যত ভেস্তে গেল।
২০১৯ সালের শারদ নবমীর দিন খুন হন পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি কোরবান শাহ। সেই মামলায় জেলবন্দি ছিলেন বিজেপি নেতা আনিসুর। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আনিসুরের বিরুদ্ধে থাকা খুনের মামলা প্রত্যাহার করতে পূর্ব মেদিনীপুরের সরকারি আইনজীবীকে নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশ মেনে আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে তা গ্রহণও করেন বিচারক। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই মামলায় জেলবন্দি আনিসুরকে তমলুক হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সেদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কোরবান শাহের পরিবার। খুনের মামলা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন করে তারা। হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য সেদিনই রায় দিয়ে জানান, মামলা প্রত্যাহার করা যাবে না। তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়ে থাকলে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। ততক্ষণে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কোলাঘাটের দিকে রওনা দিয়েছেন আনিসুর। মুক্তির দেড় ঘণ্টার মধ্যে আনিসুরকে পড়িমরি করে মেচেদা থেকে গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ।
সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আনিসুর। সেই মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রেখেছে। এমনকী ওই রায়ে কোনও স্থগিতাদেশও দেয়নি আদালত। বিচারপতিরা জানিয়েছেন খুনের মতো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ মর্জি মতো তুলে নিতে পারে না সরকার।