সেলুলয়েডের পর্দা থেকে এবার রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। বারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন তিনি। প্রার্থী হিসাবে হলফনামায় নিজের সম্পত্তির কথা জানিয়েছেন রাজ।তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজু থেকে রাজ চক্রবর্তী হয়ে ওঠা এই ব্যক্তির স্বস্ত্রীক মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ কোটিরও বেশি।রয়েছে কোটি টাকার ঋণও।একাধিক বিমাও করেছেন রাজ। তবে শেয়ার বাজারে রাজ কিছু বিনিময় করেননি।
হলফনামায় রাজ চক্রবর্তী উল্লেখ করেছেন, ২০১৯–২০ সালের রাজের উপার্জন ছিল ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৭০ টাকা।স্ত্রী শুভশ্রী উপার্জন করেছিলেন ১ কোটি ১৭ লাখ ২২ হাজার ৮৮০ টাকা।এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাজের প্রায় কয়েক লাখ টাকা রয়েছে।স্ত্রী শুভশ্রীর নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় কয়েক লাখ টাকা রয়েছে।জানা যাচ্ছে, রাজের ৮টি স্থায়ী আমানত রয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।অন্যদিকে শুভশ্রীর নামে রয়েছে ৫৭টি স্থায়ী আমানত। রাজ শেয়ার বাজারে কিছু বিনিময় না করলেও শুভশ্রীর নামে রয়েছে ৯ লাখ টাকার বেশি বন্ড।পাশাপাশ এও জানা গিয়েছে, রাজ বেশ কয়েকটি বিমা করেছন, নির্ধারিত সময়ের পরে সেই বিমা থেকে রাজের কোটি টাকারও বেশ পাওয়ার কথা।
শুধু রাজই নয়, শুভশ্রীও বিমা করেছেন। সেখান থেকেও প্রায় কয়েক লাখ টাকা আসার কথা।জানা গিয়েছে, রাজের হালিশহরে একটি জমি কেনা আছে, তার মূল্য ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫৩ টাকা।এখন সেই জমিটির দাম হয়েছে ৬৮ সাখ ৭৩ হাজার ৩৩২ টাকা। ব্যবসায়িক কারণে দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুরে একটি বাড়ি কিনেছেন রাজ, যার মূল্য ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬১ টাকা।এখনকার বাজার দর প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।তবে এতকিছু সম্পত্তি থাকলেও বাজারে ঋণও রয়েছে রাজের।হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে, রাজের ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৮ টাকা।এছাড়াও গাড়ির ঋণ রয়েছে ৪৬ লাখ টাকারও বেশি।নিজের স্ত্রী শুভশ্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন বলে রাজ জানিয়েছেন।