বিজেপি-র তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) প্রার্থী সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিমদের হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিলেন স্বাতী খান্দেকর। এই নিয়ে তিন বার এই কেন্দ্র থেকে জিতলেন স্বাতী।
চণ্ডীতলা কেন্দ্রে এবারে তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বাতী খান্দেকর। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিম।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে ১৯৪ নম্বর চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রটি ভগবতীপুর, গঙ্গাধরপুর, কৃষ্ণরামপুর, কুমীরমোড়া ও নবাবপুর গ্রামপঞ্চায়েতগুলি চণ্ডীতলা-১ সিডি ব্লকের অন্তর্গত এবং বাক্সা, বার্জিহাটি, চণ্ডীতলা, ডানকুনি, গরালগাছা, জনাই, মনোহরপুর, র্মীগলা এবং নৈতি গ্রামপঞ্চায়েতগুলি চণ্ডীতলা সিডি ব্লকের অন্তর্গত।চণ্ডীতলা বিধানসভা কেন্দ্রটি ২৭ নম্বর শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।২০১১ সালের আদমসুমারি অনুয়ায়ী চণ্ডিতলা এলাকার মোট জনসংখ্যা ৩ হাজার ৯৮৪জন। তার মধ্য পুরুষের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯, যা ৫২ শতাংশ। আর মহিলাদের সংখ্যা ১ হাজার ৯২৫ যা জনসংখ্যার নিরিখে দাঁড়াচ্ছে ৪৮ শতাংশ।আর ৬ বছরেরর নীচে শিশুদের সংখ্যা ৩৩৫। এই এলাকার মোট সাক্ষরতা ৩ হাজার ১১৯ জন।
হুগলির চণ্ডীতলা কেন্দ্রে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয় পায় তৃণমূল। তৃণমূলের স্বাতী খান্দেকর তাঁর নিকতটম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের আজিম আলি মোল্লাকে ১৪ হাজার ১৭৬ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। এই নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯১ হাজার ৮৭৪। গত বিধানসভা ভোটে চণ্ডীতলা কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ১২ হাজার ৮৪৩ ভোট। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল প্রার্থী স্বাতী খান্দেকর তাঁর নিকতটম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের আজিম আলি মোল্লাকে ১৬ হাজার ৮৭৫ ভোটা পরাজিত করেন