চতুর্থ দফার ভোটের দিন গত ১০ এপ্রিল, শীতলকুচির জোরপাটকি গ্রামের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা বাংলাকে। বুথ সংলগ্ন এলাকায় গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল চারজনের। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে ওই গ্রামবাসীদের। এরপর নানা ভিডিও সামনে আসে। সেসব ভিডিওর সত্যতা নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী? ঘটনার পরপরই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। মাথাভাঙাতেও গিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু করেছে সিআইডি। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী আধিকারিককে জেরা করল সিআইডি। তার বয়ানও রেকর্ডও করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে মাথাভাঙা থানার আইসিকেও তলব করা হবে, সূত্রের খবর।
ডিআইজি সিআইডি স্পেশাল কল্যান মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম। তলব পেয়ে বৃহস্পতিবার ভবানীভবনে এবার সেই সিটের কাছেই হাজির হয়েছিলেন মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী আধিকারিক। পুলিশ সূত্রে খবর গুলিকাণ্ডের জেরে মাথাভাঙা থানার পুলিশের তরফে দুটি মামলা করা হয়। খুন,খুনের চেষ্টা, হিংসা ছড়ানো, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলাদুটিরই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মাথাভাঙা থানার এই তদন্তকারী আধিকারিক। আসনে সেদিন এলাকায় কী ধরণের পরিবেশ ছিল? কিসের ভিত্তিতে গুলি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছে ওই তদন্তকারী আধিকারিকের কাছ থেকে। অন্যদিকে শীতলকুচিকাণ্ডে মৃতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।