ক্ষমতায় এসে শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি তদন্ত হবে। শনিবার শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে এই কথাই জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘জানতে পেরেছি, ফোন থেকে অনেক ছবি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সব তথ্য প্রমাণ রাখুন। তদন্তের কাজে সাহায্য করবে।’একইসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘কাল মাথাভাঙায় যাব মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে অন্য জায়গায় ভোট করতে যাব।’
তৃণমূল নেত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য খণ্ডন করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শিলিগুড়িতে এসে বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু কোথাও তো কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাহলে কিসের জন্য এই গুলি চালানো হল।প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা। কিন্তু তা না করে উনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর হয়ে কথা বলছেন।’ তৃণমূল নেত্রী অভিযোগের সুরে বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পুরোপুরি দোষ দেব না। কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে এই কাজ করেছে।’ তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, ‘কেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে? এবারের নির্বাচনে যত অফিসার আছেন, তাঁরা সকলকে বিজেপির পছন্দমতো নিয়োগ করা হয়েছে। কেন বিজেপি বাইরে থেকে গুণ্ডাদের নিয়ে এসে ভোট করাবে? এভাবে ভয় দেখিয়ে ভোট করানো যাবে না।’
তৃণমূল নেত্রী আরও একবার জানিয়ে দেন, ‘ভয় না পেয়ে সবাই ভোট দেবেন। অনেক বেশি করে ভোট দেবেন। বিজেপিকে হারাতে গেলে বেশি করে ভোট দেওয়া দরকার। বিজেপি যত অত্যাচার করবে, তত মানুষ এককাট্টা হয়ে তৃণমূলকে ভোট দেবে।’ উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে তৃণমূল নেত্রী আবেদন করেন, ‘উন্নয়ন ও শান্তি স্থাপনের জন্য মানুষকে ভোট দিতে আবেদন জানাচ্ছি।' নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ করা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'যাঁর জেলার সম্মন্ধে কোনও ধারণা নেই, তাঁকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপির কথা মতো পুলিশ সুপারকে নিয়োগ করা হয়েছে।’
করা হয়েছে।