২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ভোট হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই বাজেটে এবার পুষিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে আদিবাসী এবং তফসিলিদের জন্য দরাজ হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেটে তিনি ঘোষণা করলেন, আগামী ৫ বছরে রাজ্যের তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য ২০ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করবে রাজ্য সরকার। শুধু জঙ্গলমহল নয়, উত্তরবঙ্গের জন্যও একাধিক বড় প্রকল্প ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত চা সুন্দরী প্রকল্পে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। যাতে বাগানের কাছেই জমি খুঁজে চা শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরি করবে সরকার।
বাজেট বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার গৃহহীন আদিবাসী এবং তফসিলিদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। আগামী ৫ বছরে গৃহহীনদের জন্য তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য ২০ লক্ষ পাকা বাড়ি নির্মিত হবে। যত মাটির বাড়ি আছে সব পাকা করা হবে এবং সংস্কার করা হবে।’
তাই আগামী এক বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য ১০০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, অলচিকি ভাষায় ৫০০টি স্কুল এবং নতুন দেড় হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। জঙ্গলমহল এলাকায় জঙ্গল সুন্দরী নামের শিল্পনগরী তৈরি হবে।
বাজেটে চা বাগানের শ্রমিকদের উন্নতিতে দেড়শো কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে রাজ্যের ৩ লক্ষ চা শ্রমিকের একটা বড় অংশের কাছে পাকা বাড়ি নেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, দ্রুততার সঙ্গে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে আগামী ২ বছরের মধ্যে তা শেষ করবে সরকার। শুধু তাই নয়, চা শ্রমিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, রাজবংশী ভাষার ২০০টি বিদ্যালয়কে সরকারি অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।