এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ। তাও আবার রত্না চট্টোপাধ্যায় ছুড়লেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তাতেই রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। কারণ রত্নার স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে একা বেহালায় আসার জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘উনি শোভনের সঙ্গে আসছেন বলে হয়তো বেহালার মানুষ ওঁকে কিছু বলছেন না। একবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হাত ছেড়ে একা বেহালায় ঢুকে দেখান। দেখবেন বেহালার মানুষ ওঁকে কী করে!’ তবে ঠিক কী করবে তা প্রকাশ্যে বলেননি রত্না।
আসলে মঙ্গলবার বিজেপির হয়ে বেহালায় প্রচারে আসেন শোভন–বৈশাখী। তাঁদের মিছিলের আগেই বেহালায় একটি পদযাত্রা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই মিছিলেই যোগ দিয়েছিলেন শোভনের স্ত্রী রত্না। আর সেখানেই তিনি বলেন, ‘ওঁরা মুখে মেকআপ, গায়ে গয়না পরে নববিবাহিত দম্পতি সেজে সব জায়গায় যাচ্ছেন। বেহালাতেও আসছেন। এতে বেহালার মানুষ হাসছেন। হয়ত ওঁরা এখন শোভনবাবুকে কিছু বলবেন না। কিন্তু ব্যালটে মানুষের জবাব বিজেপি দেখতে পাবে।’
শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজে এখনও বেহালা পূর্বের বিধায়ক। তিনি ওই এলাকার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও বটে। যদিও রত্না বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর উনি বেহালার দিকে ফিরেও তাকাননি। আর এখন আসছেন পদযাত্রা করতে! উনি ওই মহিলাকে নিয়ে যত রাস্তায় নামবেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট তত বাড়বে। একজন মানুষ সন্তানদের ভুলে পরের স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করছেন। এসব বাংলায় চলে না। বাংলার মানুষ কোনওদিন এসব মেনে নেবেনও না। আর উনি তো আসছেন শোভনের হাত ধরে। তাই এখানকার মানুষ ওঁকে কিছু বলবেন না। কিন্তু একবার শোভনবাবুর হাত ছেড়ে একা ঢুকে দেখুন! দেখুন, মানুষ ওঁকে কী করে!’
উল্লেখ্য, শোভন বেহালা ছাড়ার পর তাঁর ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডটি দেখভাল করার দায়িত্ব রত্নাকেই দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখান থেকেই তিনি প্রার্থী হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এখন দেখার, শোভন ওই ওয়ার্ড থেকে পুরভোটে লড়েন কিনা। এমনকী বিধানসভা ভোটেও তিনি নিজের পুরনো কেন্দ্র থেকে লড়েন কিনা।