ভোটগ্রহণের দিন অন্য কেন্দ্রে সভা করে কি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? এই অভিযোগের তদন্তে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া শুরু করল নির্বাতন কমিশন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে ২টি সভা করেন মোদী। একটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর ও অপরটি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। দুটি জায়গাই নন্দীগ্রাম থেকে খুব বেশি দূরে নয়। তাছাড়া দুই সভাতেই নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণ নিয়ে মন্তব্য করেন মোদী। দাবি করেন সেখানে হারতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনও নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রশ্ন উঠেছে, ভোটগ্রহণ চলাকালীন অন্য দফার ভোটপ্রচারের অনুমতি থাকলেও যেখানে ভোট চলছে সেখানকার ভোটের ফল বা প্রাসঙ্গিক কোনও বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা যায় কি? ভারতীয় নির্বাচন বিধি অনুসারে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে সেখানে ভোটপ্রচার শেষ করতে হয়। এর পর কোনও প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল কোনও উপায়েই ভোট চাইতে পারে না। তা করলে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় অন্যদফার ভোটপ্রচার চলতে পারে। বর্তমানে টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের জমানায় এই নিয়মের যদিও খুব বেশি ব্যবহারিক দিক নেই। ওই সব মাধ্যমে প্রচার চলতেই থাকে।
বৃহস্পতিবার জয়নগরে মোদী মন্তব্য করেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র পরাজিত হবেন। উলুবেড়িয়ায় দাবি করেন, অন্য আসন থেকে লড়তে পারেন তৃণমূলনেত্রী। তৃণমূলের অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ চলাকালীন এসব মন্তব্য করে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন মোদী। কারণ, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোদীর ওই ভাষণ সরাসরি শুনেছেন নন্দীগ্রামের ভোটাররাও।
সত্যিই কি বিধিভঙ্গ হয়েছে? জানতে আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে কমিশন। এখন দেখার, সত্যিই বিধিভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে তারা।