অবশেষে কাটল জোটের জট। মঙ্গলবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এক বৈঠকে আব্বাস সিদ্দিকির ISF-এর সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনায় বসেন কংগ্রেস নেতারা। তবে বৈঠকে ছিলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেই বৈঠকেই ISF-কে দক্ষিণবঙ্গে ৩টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে কংগ্রেস। তবে উত্তরবঙ্গের ব্যাপারে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আব্বাসের দলকে আগেই ৩০টি আসন ছেড়েছে বামেরা। কংগ্রেস ৩টি আসন ছাড়ার পর আপাতত ৩৩ আসনে লড়ছে তারা। কংগ্রেস লড়ছে ৯২টি আসনে। তবে বামেরা কে কত আসনে লড়বে তা এখনো জানা যায়নি।
মঙ্গলবার আব্বাসের দাদা নওসাদ সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্য। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু ও পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
বৈঠক শেষে বিদায়ী বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা ISF-কে ৩টে আসন ছেড়েছি। আরও আলোচনা করতে হবে।’ তবে কোন কোন তারা আব্বাসকে ছেড়েছেন তা অবশ্য জানাননি মান্নান। নওসাদ বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গে আমাদের আসনরফা চূড়ান্ত। উত্তরবঙ্গ নিয়ে কথা বলতে হবে।’
রবিবারের ব্রিগেডে কংগ্রেসকে নিয়ে আব্বাসের মন্তব্যের পর জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। বাম নেতাদের তৎপরতায় বিপদ ঘনানোর আগেই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে বৈঠকে অধীর চৌধুরীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যাতে ছাইচাপা আগুনের আঁচও পাচ্ছেন অনেকে।