নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া নিয়েও বিভাজন স্পষ্ট হল কংগ্রেসের অন্দরে। একদিকে যখন একে ‘রাজনৈতিক ভণ্ডামি’ বলে কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, তখন মুখ্যমন্ত্রীকে সমবেদনা জানালেন কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্জাব সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। যা নিয়ে ফের অস্বস্তিতে হাত শিবির।
সম্প্রতি একাধিক বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেসের বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম ISF-এর সঙ্গে জোট। দিল্লিকে না জানিয়ে জোট করায় প্রদেশ কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন দলেরই কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ শর্মা। ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হল ভোটের মুখে। এবার মুখোমুখি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
বুধবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী আহত হওয়ার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দেন অধীরবাবু। বলেন, ‘রাজনৈতিক ভণ্ডামি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রামে জিততে পারবেন না বুঝে নাটক করছেন তিনি। উনি শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, সঙ্গে পুলিশমন্ত্রীও। পুলিশমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ ছিল না এটা কি বিশ্বাসযোগ্য।’
সম্পূর্ণ উলটো অবস্থান নিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ টুইটে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণের খবরে ব্যাথিত। রাজনীতিতে ও সভ্য সমাজে হিংসার জায়গা নেই। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সঙ্গে এই হামলায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি’।
কংগ্রেসের অন্দরে এই বিভাজনে যদিও বিস্মিত নন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, ‘কংগ্রেসে যত নেতা তত মত। কেউ কারও সঙ্গে সমন্বয় রাখেন না। এতে যেমন বহুমত বিকশিত হওয়ার সুযোগ থাকে তেমনই বিজেপির মতো রেজিমেন্টেড সংগঠনের সামনে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়ে দেয়। দেশ জুড়ে কংগ্রেসের সংকোচনের এটি অন্যতম কারণ।’