আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ বামেদের। সেখানে মাঠ ভরাতে এখন গানকে ভাইরাল করার ছক কষেছে তারা। ‘টুম্পা তোকে নিয়ে ব্রিগেড যাব, টুম্পা তোকে নিয়ে মাঠ সাজাব।’ এই ব্রিগেড সমাবেশে থাকবে জোট শরিক কংগ্রেসও। সমাবেশে বক্তার তালিকা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি থাকবে বলে সূত্রের খবর। আর কংগ্রেস চেষ্টা করছে রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে এসে চমক দিতে। তবে তাঁদের সময় এখনও মেলেনি বলেই খবর মিলেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই রাজ্যবাসীকে বার্তা দেওয়া হবে। বাম–কংগ্রেস জোটকে ভোট দেওয়ার জন্য নানা তথ্যের অবতারণা করা হবে। তবে এখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই দলকেই শত্রু হিসাবে তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে তুলে ধরা হবে জোটবদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ বাম–কংগ্রেসকে। তাই ‘টুম্পা সোনা’-র গানের মধ্যে দিয়েই দুই দলকে বিঁধেছে তারা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মানুষের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পৌঁছে গিয়েছে ’টুম্পা সোনা' গানের মাধ্যমে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার। তাই ব্রিগেডে বিপুল মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা করছেন জোট নেতৃত্ব। তাঁদের ধারণা, প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষ ব্রিগেডে আসবেন। যা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে।
সিপিআইএমের প্রচারে ঢুকে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ‘টুম্পা সোনা’। টুম্পার গানের অনুসরণে ব্রিগেডমুখী একটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘শেয়ার’ করা শুরু হয়েছে। গানের সঙ্গে কার্টুনে লালঝাণ্ডায় স্পষ্ট কাস্তে–হাতুড়ি দেখা যাচ্ছে। এমনকী এই গানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়ার কথা বলে সেটিকে ‘বিজেমূল’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আর গানের কলিতে উঠে এসেছে ‘টুম্পা, চেন–ফ্ল্যাগে মাঠ সাজাব’।
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ থেকে ট্রেনে–বাসে–ম্যাটাডোরে লোক নিয়ে আসার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ব্রিগেডে বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেসও থাকায় অনেক জেলায় দু’দল একসঙ্গে প্রচার করছে। তারাও জেলা থেকে লোক নিয়ে আসবে। সেক্ষেত্রে বামেদের লক্ষ্যমাত্রার বাইরেও লোকসংখ্যা বাড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। লোকসভা–বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে সভা করে থাকে বামেরা। কারণ, ব্রিগেড সমাবেশে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হয় বলে তাদের ধারণা। এবার ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করতে থাকছে ‘ভেবেছি চাকরি পাব, বিয়েতে লোক খাওয়াব, তারপর হঠাৎ দেখি ঘুষের টাকায় মন্ত্রী চলে। মোদীজি ভীষণ রাগী, তখন আমি ভেবেছিলাম, তারপর হঠাৎ দেখি সব চোরেরাই গোয়াল ঘরে।’