করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরেও ব্যাপক টালবাহানার অভিযোগ। প্রায় ১২ ঘণ্টা দেহ আগলে বসে থাকল গোটা পরিবার। ঠিক কী অভিযোগ? পরিবারের দাবি,দিন দশেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার মীরহাট গ্রামের এক বাসিন্দা। এরপর করোনার পরীক্ষা করেন তিনি। তাতে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপর গত কয়েকদিন ধরে হোম কোয়ারেন্টাইনেই ছিলেন ওই ব্যক্তি। পরিবারের দাবি, ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে বাড়িতেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি কোনও সহযোগিতা না পাওয়ার জেরেই বাড়িতেই কোনওরকমে চিকিৎসা চালানো হচ্ছিল তাঁর। এরপর ঠিক কী হল?
পরিজনদের দাবি দিন দুয়েক ধরে বাড়াবাড়ি অবস্থা হয় ওই ব্যক্তির।কিন্তু কার্যত একঘরে হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছিল তাঁদের। গত কয়েকদিন ধরে কার্যত অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন তাঁরা। পাড়ার মুদি দোকান থেকেও তাদের জিনিসপত্র দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক কোনও সহায়তা তাঁরা পাননি বলে অভিযোগ। এরপরই সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। দেহ উদ্ধারের জন্য পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোথাও থেকে বিশেষ কোনও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ।
এরপর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কালনা মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের বাড়িতে আসেন। ততক্ষণ বাড়ির লোকজনই মৃতদেহ আগলে অপেক্ষা করতে থাকেন। মৃতের ভাই বলেন, 'আমরা গত কয়েকদিন ধরে হাট বাজারও করতে পারিনি। গত কয়েকদিন প্রায় না খেয়ে কাটাতে হয়েছে। প্রশাসনিক কোনও সহযোগিতাও পাইনি। এসবের মধ্যেই দাদার মৃত্যু হয়। কিন্তু সেই দেহ নিতেও প্রায় সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন আসেন।' তবে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। পরিবারের অন্যান্যদের করোনা পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।