কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টা নিষেধের নির্দেশ কমিশনের। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্র, তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘একচোখা হয়ে গিয়েছে কমিশন’। দিলীপ ঘোষকে নোটিস পাঠানো প্রসঙ্গে অরূপ বিশ্বাস বলেন,'সব লোক দেখানো। আইওয়াশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করলে তো নরেন্দ্র মোদীকেও করা উচিত। অমিত শাহকেও করা উচিত। তারাও তো ভেদাভেদের রাজনীতি করছেন। সেটা না করে চুনোপুটিদের করে কোনও লাভ নেই। নিরপেক্ষতা নিয়ে আমার নয়, দলের নয়, সাধারন মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে।তাইতো আমি বার বার বলছি, হয়তো এমন দিন আসবে যে ক্রিকেটের মতো থার্ড আম্পায়ার দরকার হবে'।
এদিকে বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, এবারের নির্বাচনে খেলা হবে বলে বাজার গরম করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। কিন্ত মাঠ আছে, খেলোয়াড় আছে। এবার কী তবে আম্পায়ারের দাবিতে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব? সেটাও আবার কমিশনের উপরে। ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা পদে পদে দেখতে পাচ্ছি নির্বাচন কমিশন একটা পক্ষ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির যতগুলো অস্ত্র আছে, তার মধ্যে কমিশন একটা অস্ত্র হয়ে গিয়েছে। বিজেপির হয়ে কাজ করছে। ফলে তারা শুধু তৃণমূলকেই দেখছে। বিজেপিকে দেখতে পারছেননা। যা কিছু সিদ্ধান্ত তা শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধেই হচ্ছে। একটা সময় খেলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ছিল। তবে এখন থার্ড আম্পায়ার হয়েছে। আমার ধারনা ভারতীয় সংবিধানের এমন একটা দিন আসবে যখন কমিশনের উপর রিভিউ করার জন্য একটা থার্ড শক্তি রাখা হবে’।