রাত পোহালেই ভোট। তার আগেই প্রকাশ্য দিবালোকে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল কসবা। বিজেপিকে ভোট দেওয়া যাবে না—এই স্লোগান তুলে কসবায় দৌরাত্ম্য চালাল একদল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হল বাড়ি। মারধর করা হল স্থানীয় বাসিন্দাদের। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। তবে তৃণমূলের তরফে ঘটনার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ওই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শতরূপ ঘোষ ও বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ। তবে ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃ্ষ্টি হয়েছে।
শনিবার রাজ্যের ৫ জেলার ৪৪ কেন্দ্রে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ। ভোট হবে কসবা বিধানসভা আসনেও। এদিন সকালে ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে রামঠিকারী মাঠ এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালাল দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই মাটির প্রদীপ তৈরি করে দিন গুজরান করেন। তাঁদের অভিযোগ, সকালে বাইকে চেপে ২০ থেকে ২২ জন দুষ্কৃতী এলাকায় ঢুকে হামলা চালায়। একাধিক বাড়িতে নির্বিচারে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী, রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় স্থানীয় এক যুবককে।
আচমকা এই হামলা কেন চালানো হল? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত তিন দিন ধরে এলাকায় অশান্তি চলছে। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। বিজেপিকে ভোট না—দেওয়ার হুমকি দিয়ে গিয়েছে তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কসবা কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী শতরূপ ঘোষ ও বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ। কেন্দ্রীয় বহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দু’জনেই। শতরূপ ঘোষের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ক্যাম্পে বসে খাওয়া-দাওয়া করছেন। এলাকায় টহল দিচ্ছেন না। ওদিকে বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ অভিযোগ করেছেন, বারবার প্রশাসন, এমনকী পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। যদিও তৃণমূলের তরফের এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় চেতলা। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক-চিত্র সাংবাদিকক। তাঁদের বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী। ছিনতাই করা হয় ক্যামেরা, কেড়ে নেওয়া হয় চিপও। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’দলের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।