একবার নন্দীগ্রামে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তারপর হুইলচেয়ারকে সঙ্গী করেই জেলায় জেলায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। অদম্য জেদ নিয়ে বাংলাকে বাঁচাতে চান তিনি। সেকথা বারবার বলেছেন তিনি। এই অবস্থায় ফের সম্ভবত ২৮ মার্চ নন্দীগ্রামে যেতে চলেছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের একাধিক বাড়িতে ‘বহিরাগত’দের জড়ো করছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে অভিযোগ। আর তার প্রেক্ষিতে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে এই মর্মে নালিশ ঠুকল তৃণমূল কংগ্রেস। লিখিত অভিযোগ দায়ের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাহলে কী আবার আক্রমণ নেমে আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর? এই প্রশ্ন উঠতেই, ওই বাড়িগুলির এক মালিক অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? ডেরেকের অভিযোগ, নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় মোট চারটি বাড়ি ঠিক করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ঠিকানা ও বাড়ির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে ওই বাড়িগুলিতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কোন এলাকা থেকে বহিরাগতদের আনা হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে।
কোন কোন বাড়ি? অভিযোগপত্র থেকে জানা গিয়েছে, এক, নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথে রেয়াপাড়া হাসপাতাল মোড়ে কালীপদ শীয়ের বসত বাড়ি। এই দোতলা বাড়িতে ৩০–৪০ জন যুবক থাকছেন। তাঁরা কোলাঘাট, পিংলা, কাঁথি এলাকা থেকে এসেছেন।
দুই, মেঘনাদ পালের বাড়ি। চণ্ডীপুর–নন্দীগ্রাম রোড থেকে ১ কিলোমিটার ভেতরে তিন তলা এই বাড়িটি তাঁবু দিয়ে ঘেরা। এখানে ৪০–৫০ জন বহিরাগত আশ্রয় নিয়েছেন।তিন, টেঙ্গুয়া–২ পঞ্চায়েতের তেরোপাখিরা গ্রামের বাড়ি। এই বাড়িতে ২০–৩০ জন রয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।চতুর্থ, বয়াল এলাকায় ভজহরি সামন্তর বাড়ি। এখানে ২০–৩০ জন বহিরাগতকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কাছে এইসব বাড়ির বিষয়ে নালিশ জমা পড়লেও বাড়িগুলির মালিকরা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। বরং এমন ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি করেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে।