রবিবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আক্রমণ শুরু করেছিলেন। সোমবার রাজ্যসভায় বাংলার তৃণমূল সরকারকে সেই আক্রমণের রেশ বজায় রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। শুধু যে আক্রমণ করলেন তাই নয়, বরং চূড়ান্ত শ্লেষের মধ্যে দিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের শুরু থেকেই বিরোধীদের কটাক্ষ করতে থাকেন মোদী। বলেন, ‘ভালো হত যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শোনার জন্য সবাই থাকতেন। তাহলে ভালো হত। তবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে না শুনেও কত কিছু পৌঁছে গিয়েছে (বিরোধীদের কানে)। ’ দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশের অভাব নিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তারও জবাব দেন। সঙ্গে বিরোধীদের পরামর্শ দেন, বিরোধিতা করা ভালো। কিন্তু সব জিনিসেই বিরোধিতা করা উচিত নয়। তাতে দেশের মনোবল ভেঙে যায়।
সেই রেশ ধরেই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ানের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দেন। বলেন, ‘ডেরেকজির কথা শুনছিলাম। উনি বাকস্বাধীনতা, ভীতিপ্রদর্শনের মতো কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করছিলেন। আমি যখন ওনার কথা শুনছিলাম, তখন ভাবছিলাম যে উনি কি বাংলার বিষয়ে কথা বলছেন না দেশের বিষয়ে? তখন ভাবছিলাম, উনি তো ২৪ ঘণ্টাই এসব দেখছেন, শুনছেন, তাই হয়তো উনি এখানে ভুল করে বলে ফেলেছেন।'
একইসঙ্গে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মাননিধি কার্যকর না করা নিয়েও তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানান মোদী। দেশের কতজন কৃষক বছরে তিন কিস্তিতে ২,০০০ টাকা পান, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরার সময় তিনি জানান, যদি রাজনীতি বাধা না হত, তাহলে বাংলার কৃষকরাও কৃষক সম্মাননিধির আওতায় চলে আসতেন। সেক্ষেত্রে উপভোক্তার সংখ্যা আরও বেশি হত।