এই বিধানসভা কেন্দ্রটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। এই কেন্দ্রে এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন অসীমা পাত্র। ধনেখালি আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন তুষার মজুমদার। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেসের অনির্বাণ সাহা।
হুগলি জেলা পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক জেলা। চুঁচুড়া শহরে এই জেলার সদর দফতর রয়েছে। হুগলি জেলা চারটি মহকুমায় বিভক্ত। চুঁচুড়া সদর, চন্দননগর, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ। হুগলি জেলার বিধানসভা আসনগুলি হল - হরিপাল, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, আরামবাগ (তফসিলি জাতি), গোঘাট(তফসিলি জাতি), খানাকুল, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড় (তফসিলি জাতি), পান্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, ধনেখালি (তফসিলি জাতি), উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপাদানি, চণ্ডীতলা এবং জাঙ্গিপাড়া।
বর্ধমানের দক্ষিণাংশকে বিচ্ছিন্ন করে ১৭৯৫ সালে ইংরেজরা প্রশাসনিক কারণে হুগলি জেলা তৈরি করেছিল। হাওড়া তখনও হুগলি জেলার অংশ ছিল। জেলা বলতে কতগুলি থানার সমষ্টি। মহকুমার ধারণা তখনও জন্ম নেয়নি। এই জেলার দক্ষিণাংশ নিয়ে হাওড়া স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে তৈরি দিয়েছিল ১৮৪৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। ইমামবাড়া প্রাচীনকালে সুহ্ম বা দক্ষিণ রাঢ়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল হুগলি জেলা।
ভারতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিশনের নির্দেশিকা অনুয়ায়ী, ১৯৭ নম্বর ধনেখালি বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি বেলমুড়ি, ভাস্তারা, দশঘড়া-১, দশঘড়া-২, ধনেখালি-১, ধনেখালি-২, গুড়াপ, গুড়বাড়ি-১, গুড়বাড়ি-২, খাজুরদহ মিল্কি, মান্দ্রা, সোমাসপুর-১, এবং সোমাসপুর -২ গ্রামপঞ্চায়েতগুলি ধনেখালি সিডি ব্লকের অন্তর্গত। পাশাপাশি বাবনান, দাদপুর, মাকালপুর এবং সতীথান গ্রামপঞ্চায়েতগুলি পোলবা দাদপুর সিডি ব্লকের অন্তর্গত রয়েছে। ধনেখালি বিধানসভা (তফসিলি জাতি) কেন্দ্রটি ২৮ নম্বর হুগলী লোকসভা কেন্দ্র অন্তর্গত। ৬ এপ্রিল ধনেখালিতে ভোটগ্রহণ।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অসীমা পাত্র জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১২৫,২৯৮৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৬,৬৫৪৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অসীমা পাত্র তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রদীপ মজুমদারকে ৫৮,৬৪৪ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।