ভোটের দিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হামিদুল, দিলদার, মনিরুল, সামিউল কিংবা আনন্দ বর্মন। বাড়ি ফেরা হয়নি কারোরই। কারোর বাড়িতে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, কারোর বাড়িতে শিশুকন্যা। চিরদিনের জন্য হারিয়ে গিয়েছেন শীতলকুচির মানুষগুলো। গত কয়েকদিন ধরে এই মৃত্যুকে ঘিরে রাজনীতি কিছু কম হয়নি। অঝোরে কেঁদেছে পরিবারগুলি। কিন্ত কী দোষ ছিল দিলদার কিংবা আনন্দ বর্মনের, সেটা তাঁদের পরিজনরা কিছুতেই বুঝতে পারেননি । তবে এবার ন্যায় বিচারের দাবিতে সরব মৃতের পরিজনরা।
বুধবার মাথাভাঙায় সেই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন নেত্রী। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। রাজ্যসরকারও তাদের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন নেত্রী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতীম রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে ওই পরিবারের পাশে থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। আনন্দ বর্মন সহ অন্যান্যদের পরিবারকে দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্যও তিনি নির্দেশ দেন। এরপরই কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছে পরিবারগুলি।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিজনরা বলেন, 'অত্যন্ত বিপদে পড়ে গিয়েছি। আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই। কারোর বাড়িতে শিশু সন্তান রয়েছে। কী হবে কিছুই বুঝতে পারছিনা। বাচ্চাদের কীভাবে মানুষ করব কিছুই জানিনা। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। একটু যেন সাহস পেলাম'। আসলে রাতারাতি বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। পরিবারগুলিতে এখন শুধুই শূণ্যতা। অনেকেই বলছেন পাশে থাকবেন। কিন্তু ভোট মিটলে কী সত্যি ন্যায় বিচার পাবে পরিবারগুলি? এই প্রশ্ন ঘুরছে শীতলকুচিতে, মাথাভাঙাতে।