ভোট যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে রাজনীতির উত্তাপ। আর এর মধ্যেই ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগালাম আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতার পায়ের চোট নিয়ে তাঁকে বিঁধলেন দিলীপবাবু। বুধবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় এক জনসভা থেকে মমতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না সে বাংলাকে কী দাঁড় করাবো?
এদিন ভাষণের একেবারে শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইলচেয়ারে ভোটপ্রচারকে আক্রমণ করতে শুরু করেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘যারা বলেছিল খেলা হবে, খেলা শুরু হওয়ার আগেই দিদিমণি পা ভেঙে সাইডলাইনের বাইরে। এখন আর খেলতে পারবেন না, কমেন্ট্রি দেবেন, ধারাবিবরণী। কারণ খেলোয়াড় নয়, ধারাবিবরণীকার হয়ে গেছেন’।
এখানেই থামেননি দিলীপবাবু। তিনি বলেন, ‘দিদিমণি বললেন, দিদিকে বলো। বড় বড় পোস্টার লাগল। মার ফোন। মারলাম খুব। কেউ দিদি ধরে না। দিদিকে বলো হবে না এখন বলছে, দিদিকে ঠেলো, দিদিকে ঠেলো। হুইলচেয়ারে ঠেলতে হচ্ছে এখন দিদিকে। নিজের পায়ে চলতে পারছেন না’।
হুইলচেয়ারে করে মমতার ভোটপ্রচারকে কটাক্ষ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘এবার বলছেন, দুয়ারে দুয়ারে সরকার। আপনার বাড়িতে লোক যাবে। কোথায়? দুয়ারে দুয়ারে সরকার হল না। এখন হুইলচেয়ারে সরকার হয়ে গেল। তাই এই খেলার সরকার, হুইলচেয়ারের সরকার আর দরকার নেই। যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না সে বাংলাকে কী দাঁড় করাবে’?
বলে রাখি, মঙ্গলবার এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইলচেয়ারে ভোট প্রচারকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ‘শাড়ি তুলে ব্যান্ডেজ দেখানোর দরকার কী? বারমুডা পরলেই তো হয়’। বুধবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন, হঠাৎ নয়, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই এই ভাষায় তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণ শুরু করেছেন তিনি।