কঠিন সংকল্প নিয়েই আজ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রকাশ্য মঞ্চে নয়, রাজভবনের থ্রোন রুমে। করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের কারণে অনুষ্ঠান হবে অনাড়ম্বর এবং সংক্ষিপ্ত। বুধবার সকালে ঘড়ির কাঁটা ধরে ১০টা ৪৫ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রোটেম স্পিকার হিসেবে এবারের বিধানসভার প্রবীণতম সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও শপথ নেবেন। নবনির্বাচিত বিধায়করা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শপথ নেবেন। বাকি মন্ত্রিসভার শপথ হবে আগামী রবিবার, রাজভবনে। অনুষ্ঠান শেষে নবান্নে পা রাখবেন মমতা। তবে এই শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও যাচ্ছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। সাংবাদিকেরা থাকবেন মার্বেল হলে। কোভিড প্রোটোকল অনুযায়ী নির্ধারিত সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনেই হবে শপথগ্রহণ। তাহলে তিনি যাবেন না কেন? সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেছেন, ‘ভোটের পর থেকেই আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই এই অনুষ্ঠানে যাব না।’ দিলীপের এই মন্তব্য হেরে গিয়ে গোঁসার কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে আমন্ত্রিতদের তালিকায় ব্যাপক কাটছাঁট করা হয়েছে। মাত্র ২০–২৫ জনের উপস্থিত থাকার কথা। তার মধ্যে রাখা হয়েছিল দিলীপ ঘোষের নাম। পাঠানো হয়েছিল আমন্ত্রণপত্র। আবার এই তালিকায় উজ্জ্বলতম নাম দেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক তথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাক নির্বাচন পর্বে তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। যদিও তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার শপথগ্রহণে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো বিজেপিকে বিশেষ বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গাকে। যদিও অসুস্থতার কারণে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পক্ষে আসা সম্ভব নয়। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, দেব প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।