একুশের লড়াইয়ে বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কিন্তু আগুন জ্বলতে শুরু করেছে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে। রাজ্যজুড়ে নেতা–কর্মীদের ক্ষোভ এই মুহূর্তে পদ্মশিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। সেই ক্ষোভে অখুশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার প্রধান কারণ হল, এই ক্ষোভ–বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে বলে সূত্রের খবর। তাই নেটমাধ্যমে বার্তা দিয়ে তিনি শোনালেন সঙ্ঘ–শিক্ষার তিন মন্ত্র— প্রথমে রাষ্ট্র। তার পরে দল এবং সব শেষে ব্যক্তি। ইংরেজিতে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ‘নেশন ফার্স্ট, পার্টি সেকেন্ড, সেলফ লাস্ট’। তবে তার পরেও ক্ষোভ আঁচ নেভেনি।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) প্রচারক দিলীপ ঘোষের মুখে প্রায়শই এই কথা শোনা যায়। অনেকে জানান, দিলীপ ঘোষ নিজেও এই নীতিতে বিশ্বাস করেন। আর এই শিক্ষা তিনি পেয়েছেন আরএসএস থেকেই। আধ্যাত্মিক কারণেও এই কথা তিনি বিশ্বাস করেন। মনে করেন ‘সত্ত্ব গুণ’ হল রাষ্ট্র অর্থাৎ দেশকে ভালবাসা। ‘রজঃ গুণ’ হল সংগঠনের হয়ে লড়াই করা। কোনও প্রত্যাশা না রেখে নিজেকে সমর্পণ করা। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ‘তমঃ গুণ’ হল নিজের কথা ভাবা।
দিলীপ ঘোষ এই কথা শোনালেন কেন? জানা গিয়েছে, দলের প্রায় সব নেতাই বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই করতে চায়। আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি পথে পথে থাকছেন প্রচারে। আর তিনি বলেন, ‘প্রার্থী হওয়ার জন্য সবার চাহিদা দেখেই কথাগুলি লিখে স্মরণ করালাম। আমি যে তিনটি কথা লিখেছি, তা আমাদের দলের বেশিরভাগ সদস্যই বিশ্বাস করেন।’ তবে তাঁর দাবি, ‘দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। সকলে জোট বেঁধে লড়াই করবেন।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দলের ভেতরে ক্ষোভ–বিক্ষোভ নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন দিলীপ। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, যাঁরা প্রার্থী হতে পারলেন না, তাঁদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাতে ক্ষোভ মেটেনি। তারপরেও তিনি জানান, গণতান্ত্রিক দল। সবার কথা বলার অধিকার আছে। এবার বাংলায় বিজেপি আসবে বুঝতে পেরে সবাই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে প্রার্থী করা য়ায়নি। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।