নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবেক সহায়কে। তা নিয়ে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করলেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না প্রশাসনও। সঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, ‘ওরা কী চায়? প্রাণে মেরে ফেলতে চায়?’
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার শালতোড়ায় জনসভার শুরু থেকেই একেবারে আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন মমতা। মূলত তাঁর নিশানায় ছিলেন শাহ। যিনি শেষমুহূর্তে সূচি পরিবর্তন করে সোমবার রাতে কলকাতায় এসেছেন। সেখানে রাতভর বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সকাল সাড়ে ন'টা নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘হোম মিনিস্টার (কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) দেশ চালাবেন না! হোম মিনিস্টার কলকাতায় এসে চক্রান্ত করছেন, কোথায় কাকে গ্রেফতার করা হবে, কোথায় কাকে মারা হবে, কোথায় এজেন্সি দিয়ে কার পিছনে লাগানো হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘স্বরাষ্ট্রসচিবকে পর্যন্ত নোটিস পাঠিয়েছে। আমি ইলেকশন কমিশনকে (নির্বাচন কমিশন) দেখতে বলব, ইলেকশনের সময় কেন সরকারি আধিকারিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে? কেন রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে? নন্দীগ্রামে যাঁরা কৃষক আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখন পরোয়ানা পাঠানো হচ্ছে।’
শাহকে আক্রমণ করার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। সন্দেহ প্রকাশ করে প্রশ্ন ছোড়েন, শাহের অঙ্গুলিহেলনে কি কমিশনের কাজকর্ম চলছে? মমতার কথায়, ‘আমাদর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, নির্বাচন কমিশন কে চালাচ্ছেন? অমিত শাহবাবু আপনি চালাচ্ছেন না তো, আমার প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। আমরা চাই অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। কিন্তু অমিত শাহ কে? তিনি নির্বাচন কমিশনকে পথ দেখানোর কে? তিনি নির্বাচন কমিশনের দৈনন্দিন কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। আর আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত (চক্রান্ত করা হচ্ছে)। আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে যিনি (রাজ্যের প্রাক্তন নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়) ছিলেন, তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওরা কী চায়? প্রাণে মেরে ফেলতে চায়?’ পরে আবারও বলেন, ‘(শাহের সভায় লোক হচ্ছে না বলে) আমায় কি খুন করতে হবে? আমায় খুন করলে ভাবছ, জিতে যাবে? আরও গোল্লা পাবে।’