প্রথম দফার ভোটের ৪৮ ঘণ্টার আগে রাজ্যের প্রশাসনে রদবদল করল নির্বাচন কমিশন। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ কলকাতা) ও ডায়মণ্ড হারবারের পুলিশ সুপার-সহ পাঁচজন আইপিএস এবং আইএএস অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের সচিবালয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ কলকাতা) সুধীর নীলকণ্ঠকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে আইপিএস কর্তা আকাশ মাঘারিয়াকে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডায়মণ্ড হারবারের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অরিজিৎ সিনহা। এডিজি (পশ্চিমাঞ্চল) সঞ্জয় সিংকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। পরিবর্তে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইপিএস অফিসার রাজেশ কুমারকে। কোচবিহারের পুলিশ সুপারের পদেও রদবদল করা হয়েছে। কে কান্নানের পরিবর্তে দেবাশিস ধর নয়া দায়িত্ব পেয়েছেন। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানিকে সরিয়ে আইএএস অফিসার জয়েশী দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে কমিশনের সেই কঠোর পদক্ষেপে রীতিমতো অবাক সংশ্লিষ্ট মহল। শেষ কবে কোনও পদ থেকে কাউকে সরিয়ে বদলি হিসেবে কাকে আনা হবে, তাও কমিশনের সচিবালয়ের তরফে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও। কমিশনের সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার নির্বাচন শেষ হওয়া না পর্যন্ত ওই নির্দেশ কার্যকর হবে। ওই পাঁচজন অফিসারকে ভোটের কাজেও যুক্ত করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।
তবে সেই রদবদলে একেবারেই খুশি হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাঁতনের জনসভায় তিনি দাবি করেন যে হেলিকপ্টারে আসতে আসতে পারেন যে রাজ্য সরকারের কয়েকজন কর্তাকে বদল করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ করেন, কমিশনের কাজে এমনভাবে হস্তক্ষেপ করছে বিজেপি যে দেখে মনে হচ্ছে বিজেপির কমিশন হয়ে গিয়েছে। মমতা বলেন, 'আমি হেলিকপ্টারে আসতে আসতে শুনলাম আরও অনেকজন ডিএম-এসপি বদল দিয়েছে বিজেপির কথা মতো। সবটা বদলে দাও। তাতেও কোনও লাভ নেই, বিজেপিকে জেতাতে পারবে না। কারণ যাঁদের বদলাচ্ছো, তাঁরাও আমাদের লোক। তোমরা ভুল করছো, যাঁদের বদলাচ্ছো, তাঁরা আরও বেশি করে আমাদের লোক। তোমরা তো খবর রাখো না।' সঙ্গে বলেন, 'তুমি যতই অফিসার বদলি করো, মাইনে তোমার চারশ বারো। এর বেশি তুমি পাবে না।'