বিজেপির অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন, নন্দীগ্রামে পুনর্নির্বাচন নয়

আর নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেখিয়ে দিয়ে বলে দিয়েছে, নন্দীগ্রামে এবার সামান্য হলেও ভোট বেডে়ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

নন্দীগ্রামে ভোট মিটলেও বিজেপি এবার কৌশলী পথ নিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এবার দাবি করা হল, নির্বাচন চলাকালীন নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করে ধর্ণায় বসায় ২ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। আর নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেখিয়ে দিয়ে বলে দিয়েছে, নন্দীগ্রামে এবার সামান্য হলেও ভোট বেডে়ছে। ২০১৬ সালে যেখানে ৮৭.১৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল নন্দীগ্রামে, সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৮৮.০১ শতাংশ। তাই বিজেপির ভোটের হার কম পড়ার তত্ত্ব কারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন।

আবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ অফিসে চিঠি দিয়ে বিবেক দুবে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বয়ালে ভোটদান ব্যাহত হয়নি। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ভোটে সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘর থেকেই গোটা বিষয়টিতে নজর রাখছিলেন। নানা জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ আসলেও, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে বয়াল থেকে। বারংবার অভিযোগ জানানো হয় ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। শেষমেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান বয়াল সাত নম্বর বুথে। সেখানেই দু’‌ঘণ্টা ওই বুথেই থাকেন তিনি।

এমনকী কারচুপির যে অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তুলেছে, তাও মানতে নারাজ রাজ্যের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে। নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো তাঁদের রিপোর্টেও তাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বরং, নন্দীগ্রামে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্ক্রুটিনির পর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নন্দীগ্রাম–সহ দ্বিতীয় দফার কোনও আসনেই পুনর্নির্বাচন হবে না।

সূত্রের খবর, রিপোর্টে দুই পর্যবেক্ষক লিখেছেন, ওই এলাকায় ভোট পরিচালনায় বড় কোনও সমস্যা হয়নি। বিজেপির অভিযোগ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল বিবেক দুবের চিঠিতে। আসল ম্যাচে কী হবে তা জানা যাবে ২ মে। তবে দু’‌ঘণ্টার টি–টোয়েন্টিতে জিতে গেলেন মমতা।