দ্বিতীয় দফা ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে হলদিয়ার এসডিপিও বরুণ বৈদ্যকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মহিষাদলের সার্কেল ইনস্পেক্টর (সিআই) এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার প্রথম দফা নির্বাচনের দিন হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের একাধিক পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই পুলিশকর্তারা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে কারচুপি করতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন। বিশেষত হলদিয়ার এসডিপিও বরুণ বৈদ্যের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে অভিযোগ করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ছিল, বরুণ শাসক দলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় দফার ভোটের মেরেকেটে ২৪ ঘণ্টা আগে হলদিয়ার এসডিপিও পদ থেকে বরুণকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। তাঁকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে রাখা যাবে না বলে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নয়া দায়িত্ব পেয়েছেন উত্তম মিত্র।
দ্বিতীয় দফায় ভোট হতে চলা অপর এক কেন্দ্র মহিষাদলের সার্কেল ইনস্পেক্টর বিচিত্র বিকাশ রায়কে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। পরিবর্তে শীর্ষেন্দু দাসকে মহিষাদলের সার্কেল ইনস্পেক্টরের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। যিনি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ইনস্পেক্টর কর্মরত ছিলেন। সেইসঙ্গে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার অরিন্দম মানিকেও সরিযে দেওয়া হয়েছে। যিনি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই অফিসে কর্মরত। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে দেওয়া নির্দেশে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ নেই, এমন পদে অরিন্দমকে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি বালিগঞ্জ কেন্দ্রে নয়া রিটার্নিং অফিসারের জন্য তিনজন আধিকারিকের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।