রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু হয়ে যাবে। আর ঠিক এই নির্বাচনের আগে প্রচারে বেরিয়ে পাকিস্তান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। আর তার জেরে তাঁকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন। এমনকী আজ রাতের মধ্যে উত্তর পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী তা না হলে শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে? বৃহস্পতিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিজেপির কো–ইনচার্জ অমিত মালব্য। সেই ভিডিও-তে নানুরের বাসাপাড়া এলাকায় মিছিল শেষে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইক হাতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ আলমকে ভাষণ দিতে দেখা যায়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমরা যাঁরা সংখ্যালঘু, তাঁরা ৩০ শতাংশ। আর তাঁরা যাঁরা আছেন, তাঁরা ৭০ শতাংশ। এই ৭০ শতাংশকে নিয়ে তাঁরা গদিতে আসবেন। লজ্জা হওয়া উচিত। ভারতের এই ৩০ শতাংশ মানুষ যদি একদিকে চলে যায়, তাহলে চার–চারটি পাকিস্তান তৈরি হয়ে যাবে।’
এই মন্তব্যের পরই নানুনের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ আলমের বিতর্কিত বক্তব্যের জেলা প্রশাসনের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। রিপোর্ট তৈরি হলেই তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেবে প্রশাসন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে শোকজের নোটিস পাঠানো হয়েছে। শেখ আলম জানান, ইতিমধ্যেই তিনি শোকজের উত্তর পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনায় নির্বাচনের আগেই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সাফাই, ‘শেখ আলম দলের কেউ নন।’ এই ভিডিও পোস্ট করে টুইটে অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘তৃণমূল নেতা শেখ আলম বীরভূমের নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসাপাড়ায় বলেন, ভারতের ৩০ শতাংশ মুসলিম এক হলে তারা চারটে পাকিস্তান তৈরি করতে পারে...৷’ এরপর অমিত প্রশ্ন তোলেন, ‘তিনি অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে তাঁর আনুগত্য দেখাচ্ছেন...৷ কিন্তু তিনি (মমতা) কি এই অবস্থানকে সমর্থন করেন? আপনারা কি এমন বাংলা চান?’ বীরভূমের ১১টি বিধানসভা আসনে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে চলেছে ৩১ মার্চ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন ৭ মার্চ। সর্বদল বৈঠকে শেষে একথা জানিয়েছেন জেলাশাসক।