বিধানসভা নির্বাচনে মুখে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আর তা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে নির্বাচন কমিশনের। কারণ দ্বিতীয় ঢেউ। বাংলায় করোনার গ্রাফ ধীরে হলেও নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী ও কর্মীদের আচরণে উদ্বিগ্ন কমিশন। কারণ কেউ মাস্ক পরছেন না। আবার ভিড়ের মধ্যে মিশে যাচ্ছেন। সুতরাং করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিস্তর সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ কমিশনের নির্দেশ, কোনও রাজনৈতিক দলকে মিছিল–মিটিং করার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ও জেলা নির্বাচন আধিকারিকরা কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার জন্য লিখিত নির্দেশ দেবেন। এমনকী বৈঠক করতে হলেও মানতে হবে কোভিড বিধি।
কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার, সভা, মিছিলে বেপরোয়া প্রবণতা। কেই মাস্ক পরছেন না এবং কোভিড বিধি মানছেন না। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই পরিবেশকর্মী থেকে চিকিৎসকরা চিঠি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘটনা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, ‘এখন কোভিড পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রোটোকল মেনে চলার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সবাইকে সহযোগিতা করতে বলা হচ্ছে।’
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের বৈঠকে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক বলেন, ‘সকলের মনে রাখা উচিত করোনার দ্বিতীয় দফায় ঢেউ আসছে। করোনা মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের একটা দায়িত্ব আছে। জেলায় স্বাস্থ্য দফতরের নোডাল অফিসারকে বিশেষ নজরদারি করতে হবে।’ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়ে তাঁরা সওয়াল করেন। ভোটের প্রচারে কোভিড প্রোটোকল মনিটরিং নিয়ে খোঁজখবর নেন।
চিকিৎসকরা আর্জি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন যেন করোনা বিধি পালনে কড়াকড়ি করেন। কারণ করোনা বিধি না মানলে কেরল–মহারাষ্ট্রের মতো এখানেও অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন বিহারকে রোল মডেল করে করোনা আবহে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাইছেন। তার জন্যই বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সেখানকার পুলিশ–প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করতে শুরু করেছেন। কারণ প্রতিটি জেলায় এখন হেভিওয়েট নেতা–নেত্রী প্রচারে আসছেন। তার উপর প্রার্থীর সুরক্ষা তো রয়েছেই।