বিধানসভা ভোটের আগে মালদহে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের বাড়িতে হামলা চালানো হল। তাঁর বাড়ির একতলায় ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাসের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রসেনজিৎ।
সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ নীহাররঞ্জনের বাড়িতে হামলা চালায় একদল লোক। তাঁর বাড়ির একতলায় একটি দলীয় কার্যালয় আছে। সেখানে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়। ভেঙে ফেলা হয় চেয়ার, টেবিল। ভাঙচুর করা হয় স্কুটিতেও। রাতেই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নীহাররঞ্জন। তাঁর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ইংরেজবাজারের বিধায়কের দাবি, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে দলের একাংশ। সেজন্যই পরিকল্পিতভাবে প্রায় ১০০-১৫০ জন হামলা চালিয়েছে। তাঁকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ এবং প্রসেনজিতের অনুগামীদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। বিষয়টি দলের শীর্ষ মহলেও জানাবেন বলে জানিয়েছেন নীহাররঞ্জন।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি। তাঁর দাবি, দুই পাড়ার মধ্যে বিবাদের জেরেই হামলা চালানো হয়েছে। তাতে অহেতুক রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে। ঘটনায় কৃষ্ণেন্দুনারায়ণেরও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন প্রসেনজিৎ। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফরের কয়েকদিন পরেই দলের অভ্যন্তরে ‘গোষ্ঠীকোন্দলের’ বিষয়টি সামনে আসায় বিড়ম্বনায় পড়েছে ঘাসফুল শিবির। বিশেষত লোকসভা ভোটে মালদহ থেকে কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তৃণমূলকে। তাই বিধানসভা নির্বাচনে মালদহবাসীর কাছে ভোটের আর্জি জানিয়ে গিয়েছেন মমতা। সেই পরিস্থিতিতে দলের অভ্যন্তরে ‘কোন্দল’-এর ফলে জেলায় তৃণমূলের আরও সমস্যা বাড়ল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।