দল পরিচালনার ভার কর্পোরেটের হাতে চলে গিয়েছে। অযোগ্য লোককে বসানো হয়েছে দলের নেতৃত্বে। রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই বললেন দীনেশ ত্রিবেদী। সঙ্গে তিনি বলেন, আপাতত নিজের সঙ্গে নিজে থাকবো। ই্স্তফা দিয়ে অনেকটা হালকা লাগছে।
এদিন পদত্যাগী সাংসদ বলেন, ‘সহ্য করতে করতে সমস্ত মানুষকেই একদিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমার তো সাড়ে পাঁচ বছরের কার্যকাল বাকি ছিল। আরামে বড় বাংলোয় থাকতে পারতাম। কিন্তু আমরা যখন সার্বজনিক জীবনে আসি তখন এসব ভাবি না’।
তৃণমূলের নাম না নিয়েই দীনেশ বলেন, ‘যখন এত হিংসা ও দুর্নীর্তি দেখি... আমি বরাবর হিংসার বিরোধিতা করেছি। এখন চুপ চাপ বসে বসে দেখছি’।
সঙ্গে দল পরিচালনা ও দলের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘কার সঙ্গে কথা বলবো? কারও কাছে সময় নেই। আর দলের পরিচালনার ভার যখন কর্পোরেট কোম্পানির হাতে চলে যায় তখন কথা বলে লাভ কী? যে রাজনীতির ক – খ জানে না সে আমাদের নেতা হয়ে গিয়েছে’।
বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘আপাতত আমি নিজের সঙ্গে নিজে থাকবো। যেমনটা রেলমন্ত্রক ছাড়ার পর ছিলাম। আমার জন্য দেশ বড়। গোটা বিশ্ব এখন ভারতক দেখছে। তার মধ্যে সারাদিন রাজনীতির ময়দানে যে ভাবে গালাগালি দেওয়া হচ্ছে এভাবে দেশ চলে না। ইস্তফা দিয়ে অনেকটা হালকা লাগছে’।
শুক্রবার রাজ্যসভায় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী। এব্যাপারে তৃণমূলের কারও কাছেই কোনও খবর ছিল না। তাঁর হঠাৎ ইস্তফায় রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে। দেরি না করে দীনেশবাবুকে দলে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। প্রত্যাশিতভাবে তাঁকে আক্রমণ শুরু করেছে তৃণমূল।