আবারও বাংলায় বিজেপি সরকার হচ্ছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে এবার এই দাবি সঙ্গে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অন্যরকম কটাক্ষ। পঞ্চম দফার ভোটের দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, ‘২ মে বাংলা থেকে দিদির বিদায় তো নিশ্চিত। কিন্তু দিদিকে বিদায় দিন ধুমধাম করে। মমতা দিদি অনেক বড় নেত্রী। তাই ওঁকে ধুমধাম করেই বিদায় জানানো উচিত।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বড় মাপের রাজনৈতিক নেত্রী তা স্বীকার করলেন শাহ। কিন্তু তাও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না।
ধুমধাম করে বিদায়ের প্রসঙ্গ তুলে শাহ বলেন, ‘মমতা দিদি অনেক বড় নেত্রী। ১০ বছর ধরে বাংলার মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। এই নেত্রীর বিদায় একটু সম্মানের সঙ্গে হওয়া উচিত। ধুমধামের সঙ্গে হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর বিদায় তখনই ধুমধাম করে হবে, যখন বাংলায় বিজেপি দুশোর বেশি আসন পাবে।’ অর্থাৎ পঞ্চম দফায় এসে তিনি বুঝে গিয়েছেন ২০০ আসন হচ্ছে না। তাই এভাবে বার্তা দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
শনিবার বাংলার ভোটারদের কাছে শাহর অনুরোধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সুযোগ্য বিদায় নিশ্চিত করতে বিজেপিকে দু’শোর বেশি আসনে জেতান। আউশগ্রাম–সহ শনিবার আরও দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচি সারেন শাহর। এক, আমডাঙায় রোড শো। দুই, নদিয়ার চাপড়ায় জনসভা। দুটি জনসভা থেকেই রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন শাহ। তাঁর স্পষ্ট দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে সিএএ কার্যকর করা কেউ ঠেকাতে পারবে না।
এদিনের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ করতে শোনা গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। দু’দিন আগে রাজ্যের ভোটপ্রচারে এসে বিজেপি তথা আরএসএসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। প্রশ্ন তোলেন বিজেপির ডিএনএ নিয়ে। আজ জবাবে শাহ পালটা কংগ্রেস নেতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলার নির্বাচন অর্ধেক মিটে যাওয়ার পর পর্যটকের মতো রাহুল বাবা এসেছিলেন। ইটালির সংস্কৃতি ভুলে বাংলার দিকে তাকান। আমাদের ডিএনএ দেখতে পাবেন। আমাদের ডিএনএ অর্থ ডেভেলপমেন্ট, বিকাশ এবং আত্মনির্ভর ভারত।’