কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। ভোট–চতুর্থীতে শীতলকুচিতে চলল গুলি। তাতে চারজন মারা গেলেন। ভোট–পঞ্চমীতে দেগঙ্গায় চলল গুলি। তাতে অবশ্য কেউ মারা যায়নি। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা দিয়েছিল গুলি চালানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সেই নির্দেশ লহ্ঘন করা হল। এবার কলকাতা শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করল। তাও আবার বরাহনগর এলাকায়। আর তাতেই তেতে উঠেছে পঞ্চম দফার ভোট।
ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্রকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কয়েকজন মানুষ। আর তাকে কেন্দ্র করেই চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বরাহনগরে৷ বিক্ষোভকারীদের সরাতে প্রথম থেকেই মারমুখী হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাস্তায় দাঁড়িয়ে লাঠিচার্জ করল সিআরপিএফ জওয়ানরা৷ যার জেরে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন৷ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে৷
এই বিষয়ে পার্নো মিত্রের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা৷ এদিন তিনি আলমবাজার এলাকাতে ঢুকতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা৷ তিনি গাড়ি থেকে নামতেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ৷ পার্নোর সঙ্গীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতিও হয়৷ তাতেই শোরগোল পড়ে যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে পার্নোই বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন৷ তারই প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা৷ সেখান থেকেই দু’পক্ষে বচসা শুরু হয়৷ ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ এই পরিস্থিতি চলতে থাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে৷ ভিড়ও জমে যায়৷ শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মারে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে৷