চলতি সপ্তাহেই শীতলকুচিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার ভোটের দিন সেই শীতলকুচিতেই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের কাছেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এক তরুণের মৃত্যু। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃত যুবক আনন্দ বর্মন তাদের কর্মী ছিলেন বলে দাবি বিজেপির। অন্যদিকে আনন্দকে তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মৃত ব্যক্তি কোন দলের তা নিয়ে এদিন ঘটনার পর থেকেই দুই শিবিরের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শীতলকুচি। সাত সকালেই পাগলাপীর এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়। এরপর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপরই শীতলকুচির পাঠানপুলি এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ভোটের লাইনেই গুলি করা হয় আনন্দকে। অভিযোগ বিজেপির। মৃত তরুণের পরিবারের দাবি মাত্র ১৮ বছরের আনন্দ প্রথম ভোট দেওয়ার জন্য সকাল সকাল ভোট গ্রহণকেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। কিন্ত ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের কাছেই তাঁকে গুলি করা হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ওই তরুণ তাঁদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছিল তৃণমূল। এদিন সকালেও পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। এলাকায় ব্যাপক গুলি চলে ও বোমাবাজি হয়।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ওই তরুণ আমাদের কর্মী। বিজেপির হার্মাদরা তাকে গুলি করে খুন করেছে। এই ঘটনা কোনওভাবেই মানা যাবেনা। গোটা জেলা জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। এদিকে ঘটনার পরই এলাকায় টহলদারি শুরু করে কমব্যাট ফোর্স। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যম। লাঠি, বাঁশ হাতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে দুপক্ষের। এলাকায় বোমাবাজিও শুরু হয়। গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে ক্রমশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শীতলকুচিতে এক পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন। অপর এক বাসিন্দা দুলু মিঁয়াও গুরুতর জখম হয়েছেন। বেলা যত বাড়ছে এলাকায় উত্তেজনার পারদও চড়ছে। গোটা ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।