বন দফতরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা থেকে নির্বাচিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর আগে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বনদফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জঙ্গলমহল থেকে নির্বাচিত বীরবাহা হাঁসদা। অন্য়দিকে পর্যটন দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন হুগলি জেলা থেকে নির্বাচিত ইন্দ্রনীল সেন। উত্তরবঙ্গের জন্য জুটেছে কৃষি বিপনন, সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা, অনগ্রসর উন্নয়ন দফতর। এনিয়েই এবার অসন্তোষ দানা বাঁধছে উত্তরের বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে। কিন্তু কেন এই অসন্তোষ?
বাসিন্দাদের একাংশের মতে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বনাঞ্চল রয়েছে। উত্তরের জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই জঙ্গলের নানা দিক সম্পর্কে পরিচিত থাকেন। পাশাপাশি জঙ্গলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগেরও শরিক তিনি। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ থেকে কাউকে বনমন্ত্রী করলে তাঁর কাজ চালানো অনেকটাই সুবিধানজনক হয়। এবার সেই সুযোগও নষ্ট হল পুরোপুরি। বাম জমানাতেও দীর্ঘদিন বনমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন অনন্ত রায়।তবে তৃণমূল জমানাতে কিছুদিনের জন্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এদিকে কোচবিহারের মাথাভাঙার বাসিন্দা বিনয় কৃষ্ণ বর্মনও বনমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তিনি এবার পরাজিত হয়েছেন।
অন্যদিকে কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া পর্যটন দফতরের দায়িত্বও এতদিন উত্তরবঙ্গের কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি পেতেন। বিগত দিনে গৌতম দেব ছিলেন এই দফতরের দায়িত্বে। এবার তিনি পরাজিত হয়েছেন। এবার দফতর চলে গেল ইন্দ্রনীল সেনের হাতে। এনিয়েই বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, গোটা মন্ত্রিসভাতে উত্তরবঙ্গের জন্য বঞ্চনার ছবি স্পষ্ট। উত্তরে তৃণমূলের ভরাডুবির পরেও ওরা উত্তরবঙ্গ থেকে মন্ত্রীত্বও কেড়ে নিয়েছে। আমরা এনিয়ে বিধানসভায় জোরালোভাবে সোচ্চার হব।