বাম জমানাতেও তাঁকে টলাতে পারেনি কেউ। ২০১১ কিংবা ২০২৬ মমতার জয়যাত্রাও বার বার ধাক্কা খেত অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মাটিতে। সেই মুর্শিদাবাদে ২০২১ য়ের বঙ্গযুদ্ধে খাতাই খুলতে পারল না কংগ্রেস। এই জেলায় তৃণমূল পেয়েছে ১৮টি আসন, বিজেপির ঝুলিতে ২টি আসন। ভগবানগোলা, সুতি, রেজিনগর, নওদা, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ সহ বিভিন্ন আসন তৃণমূলের দখলে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল চারটি আসনে জয়ী হয়েছিল। এরপর এই উত্থান।কিন্তু কেন? কিভাবে এই সবুজ সুনামিতে ছারখার হয়ে গেল কংগ্রেসের বাগান?
স্থানীয় বাসিন্দা ও কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের মতে, এখানেও প্রবল ধর্মীয় মেরুকরণ হয়েছে। এনআরসি রুখতে সংখ্যালঘু ভোট একযোগে তৃণমূলের ঝুলিতে পড়ে। ফরাক্কা, রাণীনগর ও লালগোলার আসনগুলিতে এর জেরে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। এর সঙ্গেই জেলায় উন্নয়নের সুফলও ঘরে তুলতে পেরেছে তৃণমূল। পাশাপাশি বাসিন্দাদের একাংশের মতে, কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, তৃণমূলস্তরে যোগাযোগ না থাকার বিষয়টিতে ভালো ভাবে নেননি আমজনতা। পাশাপাশি বিজেপিকে ঠেকাতে কয়েকটি জায়গায় একেবারে এককাট্টা হয়ে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। বিষয়টিকে আমলই দিতে চাননি কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ। কাজে আসেনি অধীরের সেই রবীন হুড ইমেজ। যার জেরে অন্য কোনও পথ না পেয়ে তৃণমূলকেই আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষ। এর জেরে নওদার মতো আসনেও ৭৪ হাজার ২২২ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তবে সিপিএম নেতৃত্বের একাংশের দাবি, নেগেটিভ ভোটই সুবিধা করে দিয়েছে তৃণমূলকে। এর জেরে বদলে গেল যাবতীয় অঙ্ক।