শুরুটা করেছিলেন অসমে। শেষ করলেন পশ্চিমবঙ্গে। ভোটমুখী দু'রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, ভারতের নাম কলুষিত করতে আন্তর্জাতিক স্তরে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এমনকী ষড়যন্ত্রকারীদের কুনজরে পড়েছে ভারতীয় চা-শিল্পও।
রবিবার অসমের ঢেকিয়াজুলিতে মোদী বলেন, ‘এখন দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা তুলে ধরতে চাই। দেশের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতে ষড়যন্ত্রকারীরা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন যে তাঁরা ভারতীয় চা'কেও ছাড়ছেন না।’ যে ‘ষড়যন্ত্রের’ জাল বোনা হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত কয়েকটি নথিও সামনে এসেছে বলে দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়ত শুনবেন যে পরিকল্পনা করে কীভাবে এই ষড়যন্ত্রকারীরা বিশ্বে ভারতীয় চা-শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। কয়েকটি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি অনুযায়ী, ভারতের চা-শিল্পের যে সুনাম আছে, তার উপর আঘাত হানতে চাইছে বিশ্বের কয়েকটি শক্তি।’
জাতীয়তাবাদী এবং জীবিকা - দুই ‘অস্ত্র’ নিয়ে মোদী চা-শ্রমিকদের প্রশ্ন করেন, চা-শিল্পের উপর এরকম ‘আক্রমণের’ কি সমর্থন করেন তাঁরা? অথবা যাঁরা এই ধরনের ‘আক্রমণের’ মধ্যে চুপ করে থাকেন, চা-শ্রমিকরা তাঁদের সমর্থন করেন কিনা, জানতে চান মোদী। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে 'চুপ' থাকায় বিরোধীদেরও আক্রমণ শানান। কয়েক ঘণ্টা পর হলদিয়ায় দাঁড়িয়ে সেই বিরোধীর তালিকায় নির্দিষ্টভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন। হলদি নদীর পাড়ের জনসভায় প্রশ্ন করেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র নিয়ে দিদির মুখ থেকে একটি শব্দও শুনেছেন?'
তাৎপর্যপূর্ণভাবে চা-বাগানের ভোটব্যাঙ্ক কায়েম করতে এবারের বাজেটে য়ে ১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র, তা দুই রাজ্যেই জানাতে ভোলেননি মোদী। কার্যত একই শব্দ ব্যবহার করে ঢেকিয়াজুলি এবং হলদিয়ায় মোদী মন্তব্য করেন, 'ষড়যন্ত্রকারীদের' স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চান যে যাবতীয় শক্তি দিয়ে তাঁদের জবাবে দেবেন দেশবাসী। বাড়তি হিসেবে অসমে বলেন, ‘এই লড়াইয়ে জিতবেন আমাদের চা-শ্রমিকরা। কারণ তা আমাদের চা-শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের মোকাবিলা করতে পারবে না এই ধরনের আক্রমণ।’