অশান্তির আশঙ্কা ছিলই। তা সত্যি করে এবার ভোট চতুর্থীর সকালেই উত্তেজনা ছড়াল যাদবপুরে। বেশ কয়েক জায়গায় 'হেনস্থার' শিকার হলেন পোলিং এজেন্টরা। কোথাও পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল, আবার কোথাও এজেন্টের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছেঁটানোর অভিযোগে সরগরম হল দক্ষিণ শহরতলি। সবক্ষেত্রেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
সকাল ৬টা ৩৩ মিনিট নাগাদ যাদবপুরের শহিদ স্মৃতি কলোনিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের পোলিং এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্করের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাঁর। তবে উপস্থিত ভোটাররা পালটা বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন।
অন্যদিকে, যাদবপুরের অপর একটি বুথে সিপিএম এজেন্টকে মারধরে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মেরে এজেন্টের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সকালে যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান এলাকার রায়পুরের একটি বুথে এই ঘটনাটি ঘটে৷ যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রায়পুর ক্লাবের পাশের প্রাথমিক স্কুলের ৩০৭ নম্বর বুথে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর পোলিং এজেন্টের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। আক্রান্ত এজেন্টের নাম দীপ্তি লাহিড়ী। অভিযোগ, যিনি লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন সিপিএম পোলিং এজেন্টের চোখে তাঁর নাম সুভদ্র কুমার। বুথের বাইরে তাণ্ডব চলে সৌরভ ঘোষের নেতৃত্বে। তিনিও তৃণমূল নেতা বলে সিপিএমের তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছে।
সিপিএমের ওই পোলিং এজেন্টের অভিযোগ, তিনি এক ভুয়ো ভোটারকে চিহ্নিত করেছিলেন৷ তারপরেই সিপিএমের এজেন্টের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল৷