১৩ই জুলাই ২০২০। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে একটি দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ। এনিয়ে চাপানউতোর কিছু কম হয়নি। এবার একেবারে ভোট আবহের মধ্যেই সেই উত্তর দিনাজপুর থেকেই উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার করণদিঘি।মৃতের নাম সত্যজিৎ সিংহ। মাত্র ২২ বছরের যুবক। গলায় জামার ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, মাথার পেছনে একাধিক আঘাতের দাগ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সত্যজিৎ সিংহের বাড়ি করণদিঘির বেগুয়া গ্রামে। রবিবার বিকালে শেষবারের মতো তাঁর সঙ্গে পরিবারের লোকজনের কথাবার্তা হয়। কিন্ত বিকালের পর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে।সম্ভবত দোকান থেকে কেউ তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর সোমবার বাড়ির কাছেই বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার হয় ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। তাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, দাবি পরিবারের। কিন্ত কারা খুন করল? ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নাকি এর পেছনেও সেই রাজনৈতিক শত্রুতা? গোটা ঘটনায় দানা বেধেছে রহস্য। নানা প্রশ্নও ঘুরছে করণদিঘিতে।
তবে ভোট আবহে এটাই প্রথম নয়। একের পর এক বিজেপির নেতা কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে গত কয়েকদিনে।
গত ১লা এপ্রিল নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্রামে উদ্ধার হয়েছিল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। পরিবার দাবি করেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির জেরেই আত্মহত্যা করেছিলেন উদয় দোহে নামের ওই বিজেপি কর্মী। তার আগে ২৯শে মার্চ পশ্চিমমেদিনীপুরের শালবনি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম লালমোহন সোরেন। ২৪শে মার্চ। কোচবিহারের দিনহাটায় পশু হাসপাতালের বারান্দা থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতির দেহ। মৃতের নাম অমিত সরকার। তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর আজও অব্যাহত। কিন্ত কেন বার বার এভাবে উদ্ধার হচ্ছে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সাধারণ মানুষও।