।যেমন কথা তেমন কাজ। তবে কী আক্ষরিক অর্থেই শুরু হয়ে গেল খেলা? মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কমিশনের নির্দেশে নজরবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। রাতেই কমিশন নিয়োজিত আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পৌঁছে গিয়েছিলেন বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে। অনুব্রতকে নজরে রাখতেই এত তৎপরতা। এরপর রাতভর তাঁর বাড়ির বাইরে ছিল বাহিনীর নজরদারি। কিন্তু মঙ্গবারই তিনি প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন, নজরবন্দি মানে কী? খেলা কি বন্ধ হয়? ঘরের ভেতর ৪জনে কি খেলা হয় না?' খেলব মনে করলেই খেলা হয়।'
আর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বুধবার সকালে বোঝা গেল আক্ষরিক অর্থেই খেলতে নেমেছেন অনুব্রত। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কার্যত শুরু হয়ে যায় লুকোচুরি খেলা। বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিলেন 'নজরবন্দি' অনুব্রত। স্থানীয় সূত্রে খবর এদিন বেলা একটু গড়াতেই বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এদিন তিনি কোনও কথা বলতে চাননি। অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ির পেছনে বাহিনীর গাড়িও ছিল। সংবাদ মাধ্যমের গাড়িও ছিল পরপর। কিন্তু আচমকাই অনুব্রত গাড়ি হারিয়ে গেল রাস্তার বাঁকে। তারপর আর দেখা নেই সেই গাড়ির। কার্যত মাথায় হাত পড়ে যায় বাহিনীর আধিকারিকদের। তাঁর সঙ্গে যে সর্বক্ষণ থাকার কথা বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। এরপরই খোঁজাখুজি শুরু হয় কোথায় গেলেন অনুব্রত?
স্থানীয় সূত্রে খবর বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়েই আচমকাই অনুব্রতর গাড়ির স্পিড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জেরেই কিছুটা পিছিয়ে যায় বাহিনীর গাড়ি। পরে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ শুরু করেন বাহিনীর সদস্যরা। লালমাটির দেশে কার্যত বিভিন্ন এলাকায় ঘুরপাক খায় বাহিনীর গাড়ি। বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেও গাড়ির গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ নেন তাঁরা। সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকেও তাঁরা এব্যাপারে জানতে চান তাঁরা। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, তবে কী খেলা শুরু করে দিলেন অনুব্রত?