বাংলায় হিংসার ভয়ে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এমনটাই অভিযোগ তুলে আসরে নামলেন অসমের বিজেপি নেতারা। এমনকী অসমের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে থাকা হিমন্ত বিশ্বশর্মা রীতিমতো কড়া আক্রমণ করে অভিযোগ করেন, ‘নিরীহদের রক্ত’ হাতে নিয়ে বুধবার শপথ নিলেন ‘অত্যাচারী’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই আসরে নেমেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। তারইমধ্যে হিমন্ত অভিযোগ করেন, বাংলায় হিংসার ভয়ে অসমের ধুবরিতে চলে এসেছেন ৪৫০-র বেশি বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দুটি শিবিরে রাখা হয়েছে। 'ত্রাণ' দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের করোনাভাইরাস পরীক্ষাও করা হচ্ছে। অসম বিজেপির রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস এবং বিজেপি সাংসদ রাজদীপ তাঁদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। তাঁরা নাকি জানতে পেরেছেন যে কোচবিহার থেকে আরও ২০০ জনের বেশি আসছেন। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য দাবি করেছেন, ভোট-পরবর্তী হিংসার জেরে সার্বিকভাবে রাজ্যের এক লাখ বিজেপি ঘরছাড়া হয়েছেন।
সেই পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মমতা জানিয়েছেন, যেখানে বিজেপি জিতেছে, সেখানেই হিংসা হচ্ছে। সেই ‘বিক্ষিপ্ত’ হিংসার ঘটনা রুখতে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছেন মমতা। যদিও মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করে হিমন্ত বলেছেন, ‘এক সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমি ছিল। সেখানে তিনি সহ-নাগরিকদের শান্তি এবং ভ্রাতৃত্বের বার্তা শিখিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার ভাগ্যের কী পরিবর্তন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যাচারী রূপ নিরীহদের রক্ত হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।’