তৃতীয় দফার ভোটে বিজেপির কর্মীর মৃত্যুকে ঘিরে যখন তোলপাড় শুরু হয়েছে তখন সেমসাইড গোল খেয়ে বিপাকে পড়ে গেল গেরুয়া শিবির। স্বামীর মৃত্যুর পেছনে দলের নেতার হাত আছে এই অভিযোগ তাঁর স্ত্রী তোলায় মুখ লুকোবার অবস্থা হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপি নেতারা ভেবেছিলেন এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন দুবরাজপুরে নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী। তাঁর অভিযোগের তির স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি দুলাল ডোমের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বীরভূমের দুবরাজপুরের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরবেরা গ্রামে পাতিহার ডোম নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসই খুন করে তাদের কর্মীকে এখানে ফেলে রেখে গিয়েছে। এমনকী দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। তাতে ভোটের সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুবরাজপুর। রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করা হয়। তখন পুলিশ এই অবরোধ হঠাতে এলে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর, ইট, পাটকেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে বাধ্য হয় পুলিশ। ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ ও বিক্ষোভকারী।
তবে এই বিক্ষোভের মধ্যে তাল কাটে নিহত পাতিহার ডোমের স্ত্রীর অভিযোগ সামনে আসার পরে। নিহতের স্ত্রী জয়শ্রী ডোমের দাবি, তাঁর স্বামীকে খুন করেছে দুলাল ডোম। সোমবার বিজেপির একটি বৈঠক হয়। সেখানেই পাতিহারকে দল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন বিজেপি বুথ সভাপতি দুলাল ডোম। রাতে পাতিহার বলে, দুলাল ডাকছে। একটু দেখা করে আসছি। তারপর সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সারারাত বাড়ি না ফেরায় উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। মঙ্গলবার সকালে মাঠে এক পুকুরের কাছে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।