নন্দীগ্রামের সঙ্গে আরও একটি আসনে লড়তে পারেন তিনি। শুক্রবার প্রার্থীতালিকা ঘোষণার সময় এমনই জানালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে তিনি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানালেও পরে বলেন, টালিগঞ্জ থেকেও ভোটে লড়তে পারেন তিনি।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথা থেকে লড়বেন তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই জল্পনা চলছে। গত জানুয়ারিতে নন্দীগ্রামে গিয়ে তিনি বলেন, সেখান থেকে প্রার্থী হতে চান তিনি। এদিন প্রার্থীতালিকা প্রকাশের সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই তা স্পষ্ট করে দেন মমতা। বলেন, আমি নন্দীগ্রাম থেকেই লড়ছি। তাঁর পুরনো আসন ভবানীপুরে টিকিট পেয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর শোভনদেববাবুর আসন রাসবিহারী থেকে টিকিট পেয়েছেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার।
এপর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। এর পর ২৯১ আসনের প্রার্থীতালিকা এক দমে পড়তে শুরু করেন মমতা। পড়তে পড়তে টালিগঞ্জ আসনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করেন তিনি। এতেও বিস্ময়ের কিছু ছিল না। কার ওই আসনেরই বর্তমান বিধায়ক অরূপবাবু। এর পর মমতা বলেন, ‘ওখান থেকে আমিও লড়তে পারি।’ অর্থাৎ অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে তিনি ও দল।
নন্দীগ্রামে মমতার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে কি নন্দীগ্রামে মাটি আলগা বুঝলে বাড়ির কাছে তৃণমূলের ঘাঁটি টালিগঞ্জে ফিরবেন তিনি। নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল। আর টালিগঞ্জে ভোটগ্রহণ চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল। টালিগঞ্জে মনোনয় পেশের শেষ দিন ২৩ মার্চ। অর্থাৎ নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণের ১ সপ্তাহ আগে টালিগঞ্জে মনোনয়ন পেশের পর্ব শেষ হবে। ততদিনে নন্দীগ্রামের ভোটের ফল কী হতে পারে তা অনেকটাই আঁচ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।