রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। ভোটের মুখে রাজ্য–রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তিনি। গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে কথা জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার তাঁর এক মন্তব্যকে ঘিরে ফের নতুন করে শুরু হল জল্পনা। এদিন এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। ভবিষ্যতে আর রাজনীতি করবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান, ‘টিকিট পেলে রাজনীতি করব। টিকিট না পেলে করব না।’ আর তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিন এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। রাজনীতি ছেতে অব্যাহতির কারণ জানতে চাইলে এদিন তিনি বলেন, ‘বুড়ো হয়ে গিয়েছি সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’ এর পর সাংবাদিকের প্রশ্ন, ‘আগামীদিনে কী করবেন?’ উত্তরে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘ ছবি আঁকব, সিনেমা করব, কত কিছু করব।’ আর রাজনীতি? তখনই চিরঞ্জিৎ কোনও রাখঢাক না রেখে বলেন, ‘টিকিট পেলে রাজনীতি করব। টিকিট না পেলে করব না।’
বারাসতের বিধায়কের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, ‘উনি অনেক বর্ষীয়ান একজন অভিনেতা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। এর আগে দূরদর্শনে সংবাদ পাঠক ছিলেন দীপক চক্রবর্তী। পরবর্তীকালে নায়ক চিরঞ্জিৎ। এবং তার অনেক পরে বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। তাঁর বয়সও হয়েছে। যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে তিনি দলটা করেছেন। এখন যদি তাঁর মনে হয় যে তিনি জনপ্রতিনিধি থাকলে আগামীদিনে তৃণমূল করবেন কিন্তু দলের সাংগঠনিক কাজে সময় দিতে পারবেন না— সেটা সম্পূর্ণ তাঁর সিদ্ধান্ত। তাঁর এই বক্তব্যে আমি বাড়তি কোনও তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার চিরঞ্জিৎ জানিয়েছিলেন, বরাবরই রাজনীতির বাইরের লোক তিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন আনতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেছিলেন। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০১৬ সালে যখন আবার প্রার্থী হন, তার আগেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি এটা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বিজেপি বা অন্য কোনও দলে তিনি যাবেন না। কিন্তু এখন টিকিট পাওয়া নিয়ে নতুন মন্তব্যকে ঘিরে ফের শুরু হল জল্পনা।