তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যাঁরা 'বিশ্বাসঘাতকতা' করেছেন, তাঁদের একহাত নিলেন রাজসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। নাম না করেই তৃণমূল সাংসদ জানান, কে কতদিন তৃণমূলে ছিল, সেটা বড় কথা নয়। দলে থেকে পিছন থেকে যাঁরা ছুরি মারেন, তাঁরাই আসলে বিশ্বাসঘাতক।
নির্বাচনের ঠিক আগে দল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বেশ কয়েকজন নেতারা। এবার নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির পাশাপাশি এই সব দলত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার ঠিক আগে সেই সব 'বিশ্বাসঘাতক'-দেরই ফের নিশানা করলেন ডেরেক।
হিন্দুস্থান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই বলেন, ‘দলেরই একজন নেতা গত সাড়ে ৯ বছর তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী থাকার পর তাঁর মনে হল তৃণমূল সব ভুল করেছে। এরপর সে বিজেপিতে সে নিজেই পরে বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে অমিত শাহের যোগাযোগ ছিল। তাহলে এই ধরনের লোকদের বিশ্বাসঘাতক ছাড়া কী বলব?’ একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, যে সব তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঘুষ নিয়েছিল। এরপর তাঁরা যখন বিজেপিতে যান, তখন তাঁদের 'ওয়াশিং মেশিনে' শুদ্ধ করে নেওয়া হয়। যাঁদের আগে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হত, বিজেপিতে গেলেই তাঁরা আজ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়।
তৃণমূলের নীচুস্তরে কি দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, 'এই সব আসলে বিজেপি নির্বাচনের সময়ে প্রচার করে বেরিয়েছে। ২ মে আসতে দিন। মানুষের রায় জানা যাবে। সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তৃণমূলে যদি রিটেল (খুচরো) দুর্নীতি চলেও থাকে, তাহলে বিজেপিতে হোলসেল (পাইকারি) দুর্নীতি চলছে। বিজেপির আপাদমস সব দুর্নীতিতে ভরা।'