বাংলার মেরুদণ্ড ভাঙলে গেলে তোমাদের মেরুদণ্ড কেঁচোর মতো হয়ে যাবে।রবিবার সোনারপুরের সভা থেকে এই ভাষাতেই বিজেপিকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, রাবন, দুর্যোধন, দুঃশাসনরা সব এসেছে বংলাকে দখল করতে। বাংলা ওদের চাই।কিন্তু বাংলাকে জয় করা মোটেও সহজ হবে না।ইংরেজরা বিভাজনের রাজনীতি করেছিল।পারেনি।বাঙালির মেরুদণ্ড ভাঙতে গেলে তোমাদের মেরুদণ্ড কেঁচোর মতো হয়ে যাবে।এদিন তিনি স্পষ্ট জানান, বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না।বাংলাকে দখল করতে দেব না।একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া নিয়েও সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়ার কে।উনি কি আমাকে সংবিধান শেখাচ্ছেন।
সোনারপুরের মাটিকে নিজের লাকি জায়গা বলে উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, ‘সেই ৮ তারিখ থেকে প্রচার শুরু করেছি।১০ তারিখে আহত হয়েছি। কিন্তু আহত হলেও একদিনের জন্য ছুটি নেইনি।আমার জেদটা খুব বেশি।যখন বুঝলাম নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করেই আমায় চোট করা হল, তখন বুঝলাম আমায় বেরোতেই হবে।আমি যা পারি, অনেকেই তা করতে পারে না।আসলে মানসিক শক্তি যদি ঠিক থাকে, তাহলে সব জয় করা যায়।তাই বাংলাকে জয় করে বেরিয়েছি। বাংলাকে জয় করতে করতে সোনারপুরে এসে পৌঁছেছি।’
সোনারপুরের সঙ্গে তাঁর যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সেকথা উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রী জানান,‘আমি সোনারপুরের জন্য অনেক কিছু করেছি।কত ব্রিজ তৈরি হয়েছে। কত রাস্তা হয়েছে।সোনারপুরে যেদিন উড়ালপুলটা তৈরি হল, সেদিন আমার আনন্দ আর ধরে না।আগে বানতলা থেকে সোনারপুরে আসতে অনেক সময় লাগত। এখন রাস্তা ভালো হয়ে যাওয়ায় বানতলা থেকে প্রতাপনগর হয়ে সোনারপুর খুব কম সময়ে চলে আসা যায়।’এদিন সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী জানান, পুর এলাকায় যাতে মানুষ পরিষেবা ঠিকমতো পান, সেজন্য ঢেলে সাজানো হবে। সব কাজ যাতে অনলাইনে সেরে ফেলা যায়, সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেবে সরকার। পাশাপাশি বছরে ৪ বার পাড়ায় পাড়ায় সমাধান ও দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প করা হবে।
এদিন তৃণমূল নেত্রী তাঁর সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প যেমন কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্পকে তুলে ধরেন।একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে বিজেপি।দেশটাকে বেচে দিচ্ছে।