সবে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। দু’দিন এখনও বাকি দ্বিতীয় দফার জন্য। তার মধ্যেই দল ভাঙন। আর ভাইজানের দলে ভাঙন ধরালো তৃণমূল কংগ্রেস। যা নন্দীগ্রাম নির্বাচনের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ এবার আইএসএফ থেকে একঝাঁক প্রথমসারির নেতা দল ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজি মহম্মদকে তৃণমূল কংগ্রেসে সামিল করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনকী বন্দর এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেসের নেতা ডক্টর শাকিল আহমেদ এবং কয়েকশো আইএসএফ কর্মী যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে।
এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আইএসএফ নিজেকে সিপিআইএমের কাছে আত্মসমপর্ণ করেছে। যে সিপিআইএমের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেছিলেন সেই দলে এখন আব্বাস সিদ্দিকি কমরেড হয়ে গিয়েছেন। তাই প্রতিবাদে এই ব্যক্তিত্বদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। একমাত্র মমতাই বিজেপিকে আটকাতে পারেন। এখনও নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় রয়েছেন তার অপদার্থতার দায় কংগ্রেসের। যদি গুজরাট মামলার সঠিকভাবে তদন্ত হতো তবে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারতেন না।’
উল্লেখ্য, বামেদের সঙ্গে আইএসএফ–এর জোট হয়েছে। সেখানে রয়েছে কংগ্রেসও। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তারা প্রার্থীও দিয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য সংখ্যালঘু ভোট কেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপদে ফেলা। কিন্তু এদিনের যোগদান তাতে বেশ খানিকটা জল ঢেলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট রয়েছে। এই আসন এবার নজরকাড়া কেন্দ্র। এখানে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন। তবে এই যোগদান দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নিমতাকাণ্ড নিয়েও আক্রমণ করেন ফিরহাদ। মাসখানেক নিমতায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে যে বৃদ্ধা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল, তাঁর আজ মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। মিথ্যা প্রচার করে রাজ্যের মানুষের সহানুভূতি কুড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমি আশা করি ন্যায় বিচার হবে।’