এই আসনে বিজেপির প্রার্থী নির্মল ধাড়া ৪৮.০৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের রুনু মেটে পেয়েছেন ৪৪.৭৩ শতাংশ ভোট।
এই কেন্দ্রটি তপসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন রুনু মেটে। এই আসনে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী নির্মল ধাড়া। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিএমের নয়ন শীল।
বাঁকুড়া জেলার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান।এই জেলাতেই রয়েছে ইন্দাস বিধানসভা কেন্দ্র। দক্ষিণে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। আর দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে হুগলি। এছাড়াও পশ্চিমে পুরুলিয়া জেলা রয়েছে। বাঁকুড়া ও বর্ধমান এই দু’টি জেলাকে পৃথক করেছে দামোদর নদ। বাঁকুড়ার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভাগের জমি নিচু ও উর্বর পলিমাটিযুক্ত। পশ্চিম ভাগের জমি ধীরে ধীরে উঁচু হয়েছে।
২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গুরুপদ মেটে৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৪,৯৪০৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বাম প্রার্থী দিলীপকুমার মালিক৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৬,১০৩৷ তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী নির্মলকুমার ধাড়া৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৬,২৪৬৷ ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জিতেছিলেন গুরুপদই। সেই বছর তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৮৫,৫৮৯।
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের মহাদেব পাত্র ইন্দাস কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের বাসুদেব দিগারকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে সিপিআইএমের নন্দদুলাল মাঝি পরাজিত করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ণিমা লোহারকে। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের নবকুমার রজক ও ১৯৯১ সালে কংগ্রেসের সনাতন সাঁতরাকেও পরাজিত করেছিলেন নন্দদুলাল।১৯৮৭ সালে সিপিআইএমের বদন বোড়া কংগ্রেসের পিরুচন্দ্র পণ্ডিতকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের গৌরচন্দ্র লোহার ও ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির নবদুর্গাকেও পরাজিত করেছিলেন।
ওই আসনে ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের সনাতন সাঁতরা জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের বদন বোড়া জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসের অবনীকুমার সাহা জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে কংগ্রেসের পি.সি.মাল ইন্দাসে জয়ী হয়েছিলেন। এর আগে, ইন্দাস কেন্দ্রে আসন না থাকলেও সেখানে পাত্রসায়র নামে একটি আসন ছিল।