সোমবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রনাম করেছিলেন তিনি। বুধবারও বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের কাছে পৌঁছল না অমিত শাহের সভার আমন্ত্রণপত্র। অথচ রাত পোহালেই ঠাকুরনগরে আসছেন শাহ। বিশ্বজিতের বিজেপির প্রতি আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দলের অন্দরেই? আমন্ত্রণপত্র না পৌঁছনোয় উঠছে প্রশ্ন।
গত সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রনাম করেছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ। বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় ২ জনের মধ্যে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, কী রে বিশ্বজিৎ? কিছু সিদ্ধান্ত নিলি?
খবর পেয়ে বিশ্বজিৎ দাসকে ফোন করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁকে তলব করা হয় দলীয় দফতরে। সেখানে বিকেলে তাঁকে সংবর্ধনা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু বরফ যে তাতে গলেনি টের পাওয়া গেল বুধবার। শাহের সভার ২৪ ঘণ্টা আগেও বিশ্বজিতের কাছে পৌঁছলো না আমন্ত্রণপত্র। দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বজিৎ কেন আমন্ত্রণপত্র পাননি তা বনগাঁর সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের কাছে জানতে চাওয়া হবে। বৃহস্পতিবার মতুয়া মহাসংঘের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই আসছেন শাহ।
এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘কেন আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি তা জানি না। পেলে নিশ্চই সভায় যাবো।’ ওদিকে বিজেপির অন্দরমহল সূত্রের খবর, স্থানীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিশ্বজিৎ। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করে দলে কলকে পাচ্ছেন না তিনি। দলের রাশ রয়েছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গোষ্ঠীর হাতে। তাই দলের স্থানীয় অনুষ্ঠানে খুব একটা দেখাও যায় না বিশ্বজিৎ দাসকে।